মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মেয়ের সম্ভ্রম বাঁচাতে স্বামীর লিঙ্গ কেটে দিয়েছেন এক স্ত্রী। শনিবার (১৬ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার বাড়ৈখালী ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শ্রীনগর থানায় ওই স্ত্রী দোলন বেগম (৩৫) কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের জানান, মা হিসেবে মেয়ের সম্ভ্রম বাঁচানোর জন্য এর বাইরে তার আর কিছু করার ছিলনা।
তিনি জানান, তার স্বামী সোলায়মান মুন্সী (৪০) বাড়ৈখালী বাজারে নাবিল টেইলার্সের মালিক। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এলাকায় নারীলোভী হিসেবে পরিচিত তার স্বামী বিভিন্ন নারীর সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িত। একাধিকবার সে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে অবৈধ মেলামেশা করার সময় জনতার হাতে ধরা পড়ে মার খেয়েছে।
স্বামীর এসব আচরণ মেনে নিলেও নিজ মেয়ের উপর স্বামীর কুনজর তিনি মেনে নিতে পারেননি। এ কারণে বেশ কয়েক বছর আগে স্বামীর সংসার ছেড়ে চলে যান তিনি। পরে পারিবারিকভাবে মিমাংসার মাধ্যমে স্বামীর সংসারে ফিরে আসেন।
তিনি জানান, বাড়ৈখালী শ্বশুর বাড়ি থেকে ঈদের ৩/৪ দিন আগে তোর মেয়ে রোকসানা (২০) বাবা-মার সাথে একত্রে ঈদ উদযাপন করতে নিজ বাড়িতে আসেন। রাতে লম্পট পিতা সোলায়মান মুন্সী রোকসানার ঘরে ঢুকে নিজের মেয়েকে কু-প্রস্তাব দেয়। রোকসানা এই ঘটনা তার মাকে খুলে বলেন। বিষয়টি জানানর পর মেয়েকে ভাসুরের ঘরে শুতে পাঠান।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লম্পট সোলায়মান মুন্সী স্ত্রীকে মারধর করেন। উপায় না দেখে দোলন আক্তার ঈদের দিন সন্ধ্যায় তাকে সেমাইয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। রাত ১২টার দিকে ঘুমিয়ে পড়লে ধারালো ব্লেড দিয়ে স্বামীর লিঙ্গ কেটে ঘর থেকে বের হয়ে যান।
পরে সোলায়মানের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিছুক্ষন পর স্ত্রী দোলন বেগম নিজ ঘরে ফিরে আসেন এবং সকালে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীনগর থানার ওসি এসএম আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।