শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৬, ০৭:২৪:৫৩

নারায়ণগঞ্জে বাড়িওয়ালাসহ ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক

নারায়ণগঞ্জে বাড়িওয়ালাসহ ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার একটি জঙ্গি আস্তানায় অপারেশন হিট স্ট্রং-২৭ অভিযানে তামিম চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি নিহত হওয়ার পর ওই আস্তানার তথ্য সংগ্রহে নেমেছে পুলিশ। এরই মধ্যে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াসহ ওই বাড়ির ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফারুক হোসেন।

শনিবার বিকালে তাদের আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, আটককৃতদের মধ্যে বাড়ির মালিক নুরুদ্দীন দেওয়ানসহ তার পরিবারের ৫ জন সদস্য এবং বাকিরা ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া। তিনি জানান, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে কোনো তথ্য পাওয়া গেলে পরে তা গণমাধ্যমকে জানানো হবে।

এদিকে ওই অভিযান শেষে বাড়িটির মালিক নুরুদ্দীন দেওয়ানকে আটক করে পুলিশ। তবে এর আগে তিনি বাংলা জানিয়েছেন, জুলাই মাসে জঙ্গিরা মুরাদ ও রানা নামে বাসাটি ভাড়া নেয়। তারা নিজেদের পরিচয় দেয় ওষুধ কোম্পানির চাকরিজীবী হিসেবে। বাড়িওয়ালা বলেন, ‘ভাড়া দেওয়ার পর আমি একাধিকবার ওই বাসায় গেছি। গিয়ে দেখেছি, তারা কেউ রান্না করছে, কেউ শুয়ে আছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘গত দেড় মাসে তাদের সন্দেহজনক কিছু আমার চোখে পড়েনি।’

আজ শনিবার সকালে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও পুলিশ সদর দফতরের এলআইসি শাখা যৌথভাবে ওই অভিযানটি পরিচালনা করে। এতে তিন জঙ্গি নিহত হয়। এদের একজন গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরী। অপর দু’জনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তবে তারা ধারণা করছেন এরা কল্যাণপুরের আস্তানা থেকে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গি মানিক ও ইকবাল। এদের পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার একটি বাড়িতে বড় ধরনের জঙ্গি আস্তানা রয়েছে— এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সকালে সেখানে অভিযান শুরু করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা।

অভিযান শুরুর আগে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের জন্য সময় দেয়া হয়। কিন্তু তারা আত্মসমর্পণ না করে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়লে ও গুলি করলে পুলিশ অভিযান শুরু করে।

অভিযান শেষে বাড়ির ভবনে ঢুকে দেখা যায় তৃতীয় তলার একটি কক্ষে দু'জনের রক্তাক্ত মরদেহ একটি ছুরি পড়ে ছিল। সেখানে বিস্ফোরিত গ্রেনেড পাওয়া যায়। পাশের একটি বিলাসবহুল কক্ষে পাওয়া যায় তামিমের লাশ। এছাড়া তিন তলা ওই ভবনের পাশের একটি টিনের বাড়ির চালে দুটি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত এক জঙ্গির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আগেই এই জঙ্গিদের অবস্থান জানতে পারে পুলিশ। আজ ভোর থেকে অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হলেও মূল অভিযান চলে এক ঘণ্টা। জঙ্গিরা ভেতর থেকে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড ও গুলি ছুড়ে।

আইজিপি জানান, ঘটনাস্থল থেকে একে ২২, পিস্তল ও গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়।
২৬ আগস্ট, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/শান্ত/মো:শাই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে