নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ শহরে মাসদাইরে ঢাকা-পাগলা-নারায়ণগঞ্জ সড়কের পাশেই সিটি করপোরেশনের কবরস্থান ও শশ্মান। গা-ঘেঁষা এ দুটি স্থাপনা সেখানকার সাম্প্রদায়িক প্রীতির বড় একটি উদাহরণ। এই প্রীতির আরেকটি নজির তৈরি হয়েছে সেখানে। নারায়ণগঞ্জ শহরে এবার দুর্গোৎসবের দুটি কমিটির সভাপতি হলেন মুসলমান। এ ছাড়া আরও একটি পূজা উদযাপন পরিষদের কার্যকরী সদস্য মুসলমান।
নারায়ণগঞ্জে এ বছর ১৯৬টি মন্দির ও মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগরে আছে ৬৫টি মণ্ডপ।
জানা গেছে, শহরের নিতাইগঞ্জে প্রজন্ম প্রত্যাশা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ। গত বছর থেকে তিনি এ কমিটির সভাপতির দায়িত্বে আছেন। এর আগে এ কমিটির সভাপতি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শংকার সাহা। তিনি বলেন, ‘জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই কাজের চাপ কমাতে ওই পূজা কমিটির পদ থেকে সরে আসি।’
মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, ‘আমরা ছোট থেকে বড় হয়েছি পূজা ও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে। আমাদের দৃষ্টিতে, ধর্ম যার-যার, উৎসব সবার।’
অন্যদিকে শহরের নগর খানপুর সিদ্ধিগোপাল আখড়া পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি হিসেবে আছেন ব্যবসায়ী মঞ্জুর হোসেন। তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমরা বন্ধুরা মিলে পূজা শুরু করি। তারপর পূজা কমিটি থেকে সরে আসার চেষ্টা করলেও এলাকার সবার অনুরোধে এখনও সভাপতি থাকতে হচ্ছে। তবে এখনও পূজায় কোনও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়নি।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া বলেন, ‘ধর্মীয়ভাবে পূজা হিন্দুদের হলেও উৎসব সবার। আমার প্রত্যাশা, নারায়ণগঞ্জের মতো সব জেলায় এই বিশ্বাস ছড়িয়ে পড়ুক।’ -বাংলা ট্রিবিউন।
০৬ অক্টোবর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম