বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১১:০০:৫২

‘জীবনের শেষ ভোট দিতে আইছি বাজান’

‘জীবনের শেষ ভোট দিতে আইছি বাজান’

জসীম উদ্দীন ও মানিক মোহাম্মদ : ‘বাঁচা মরার ঠিক নাই বাজান। একলা চলতে পারি না। আর কখনো ভোট কেন্দ্রে আসতে পারবো কিনা জানি না। জীবনের শ্যাষ ভোট মনে কইরা কান্ধে ভর কইরা আইলাম ভোট দিতে।’

বলছিলেন আশি ঊর্ধ্বো নুরুজ্জামান ব্যাপারি। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় দু`জনের কাঁধে ভর করে ৮ নং ওয়ার্ডের ধনকুন্ধা পপুলার হাইস্কুলে আসেন তিনি। এ সময় উপস্থিত পুলিশ, আনসার সদস্য সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন, হাত ধরে ভেতরে নিয়ে যান।

এর আগে বিভিন্ন কাউন্সিলর, ওযার্ড চেয়ারম্যান প্রার্থীরা তার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। সবাই তার এই উদ্যোগে খুশি হন।

ভোট দেয়া শেষে তিনি জানান, সারা জীবন ব্যবসা করছি নাম ডাকের সঙ্গে। কতো মানুষের সঙ্গে মিশেছি। অধিকাংশ প্রার্থী আমাকে চেনেন। ভোটও চেয়েছেন সবাই। তবে সবাইকে তো আর ভোট দেয়া সম্ভব না! উন্নয়ন করবে, মানুষের কথা ভাববে- এমন মানুষকেই খুঁজছি।

নুরুজ্জামান বেপারি বলেন, বয়স হয়ে গেছে। আগের মতো আর চলতে পারি না। জীবনের শেষ ভোট মনে কইরাই ভোট দিতে আইছি। সঙ্গে সহযোগিতায় থাকা ভাতিজা আতাউর রহমান জানান, চাচা আগ্রহ নিয়েই ভোট দিতে এসেছেন। আসার পথে ভোটে কে জিতবো কে হারতে পারে সে সম্পর্কে খবর নিলেন। কিন্তু ভোট কাকে দেবেন সে ব্যাপারে কিচ্ছু বলেননি।

ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার জানান, নারীদের ভোট দেয়ার হার বাড়তে শুরু করেছে। প্রচুর নারী ভোট দিতে সাঁরিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।

কেন্দ্র সূত্রমতে, সেখানে মোট পুরুষ ভোটার ৩৩১২ জন। বিপরীতে নারী ভোটার ৩৪১৬ জন। -জাগো নিউজ।
২২ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে