উদিসা ইসলাম : নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর এখনো বাদী পক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, যারা পলাতক আছেন তাদের গ্রেফতারে করে আইনের আওতায় আনতে উচ্চ আদালতের আশ্রয় চাওয়া হবে। রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানিয়ে তিনি বিচারককে ধন্যবাদ জানান।
রায় ঘোষণার আগে তিনি আসামিদের সর্বোচ্চ সাজার আশার প্রকাশ করেছেন। সোমবার সকালে আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘জাতি আজ ন্যায় বিচারের আশায় তাকিয়ে আছে।’
সোমবার নারায়ণগঞ্জের ৭ খুন মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন এই রায় দেবেন। গত বছরের ৩০ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
মামলার চার্জশিটভুক্ত ৩৫ আসামির মধ্যে ১২ জন পলাতক। গ্রেফতার ২৩ আসামির মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন, নৌ-বাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম এম রানা।
পলাতক ১২জনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নূর হোসেনের সহযোগী ভারতে গ্রেফতার সেলিম, সানাউল্লাহ সানা ও র্যাবের সদস্য কর্পোরাল লতিফুর রহমান।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, আসামিদের মধ্যে ২১জন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১০৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় দুটি মামলা হয়। বাদী বিজয় পাল অজ্ঞাত ও বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটি নূর হোসেনসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। দুটি মামলার তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দেয় পুলিশ। বিউটির মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ জনকে পরে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। -বাংলা ট্রিবিউন।
১৬ জানুয়ারী, ২০১৭এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম