নিউজ ডেস্ক : অবশেষে ছয় বছর বয়সী ছেলে আর বৃদ্ধা মার কোলেই মা'রা গেলেন সিঙ্গাপুরফেরত সেই রেমিট্যান্স যো'দ্ধা রানা শিকদার। বত্রিশ বছর বয়সী রানা শিকদার পাকস্থলীর ক্যান্সারে ভুগছিলেন। তিনি মে মাস থেকে শয্যাশায়ী থেকে মৃ'ত্যুর প্রহর গুনছিলেন।
রানার চাচা আনিস শিকদার জানান, গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টায় নারায়ণগঞ্জে নিজ বাড়িতে পরিবারের সব সদস্যদের উপস্থিতিতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃ'ত্যুকালে তিনি মা, স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান রেখে গেছেন। সন্ধ্যায় রানাকে দাফ'ন করা হয়।
প্রসঙ্গত, রানা শিকদার ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পাড়ি জমান সিঙ্গাপুরে। কাজ করেন শিপইয়ার্ডে। মে মাসের শুরুর দিকে হঠাৎ রানার পেটে ব্য'থা আর ব'মি হয়। যান চিকিৎসকের কাছে। ওষুধ খেয়ে ব্যথা কমায় আবারও ছুটেন কাজে।
সপ্তাহখানেক না যেতেই আবার ব্যথা ও বমি। এবার ভর্তি হতে হলো হাসপাতালে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা গেল, তার পাকস্থলীতে ক্যানসার। চিকিৎসকরা জানালেন, একেবারে শেষ পর্যায়ে ক্যানসার। তাদের আর কিছু করার নেই।
সিঙ্গাপুরের হাসপাতালের চিকিৎসক সিনথিয়া গুহ হঠাৎ রানার জীবনের গল্প শুনেন। ক্রাউড সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ফান্ড জোগাড় করে ২২ মে রাতে রানাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। রানাকে বিশেষ বিমানে বাংলাদেশে পাঠাতে খরচ হয় ৪৮ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার বা ৩১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। আর রানার জন্য ডা. সিনথিয়ারা যে তহবিল গঠন করেছিলেন, মাত্র ৭২ ঘণ্টায় তাতে জমা পড়ে ৬০ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার বা ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।