নারায়ণগঞ্জ থেকে : নারায়ণগঞ্জ করোনার হ'টস্প'ট, এপি সেন্টার ও রে'ড জো'ন। নারায়ণগঞ্জ জেলার কোনো নাগরিক অন্য কোনো জেলায় প্রবেশ করেছে এটা শুনলেই শুরু হয় আ'ত'ঙ্ক। কারণ শুরুতেই অ'ভিযো'গ রয়েছে, নারায়ণগঞ্জ প্রায় দেশের ৩২টি জেলায় করোনার বিস্তার ঘ'টিয়েছে। কিন্তু সেই নারায়ণগঞ্জ এখন করোনায় ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
যদিও করোনায় মৃত্যুর সংখ্যায় ঢাকার পরই নারায়ণগঞ্জ। অর্থাৎ দ্বিতীয়। কিন্তু সুখবর হলো এই জেলায় আক্রা'ন্তদের অর্ধেক অর্থাৎ ৫০ ভাগ-ই এখন করোনামু'ক্ত। আর করোনামু'ক্ত হয়েছেন বেশীর ভাগ আক্রা'ন্ত ঘরে আইসোলোশনে থেকেই। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, শুক্রবার পর্যন্ত ইতোমধ্যেই জেলায় ৪ হাজার ৯২৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রা'ন্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে জেলায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১১০ জনের আর সুস্থ হয়েছেন ২৪৭১ জন।
এতে দেখা যায়, আক্রা'ন্ত হয়ে সুস্থ হবার সংখ্যা পুরো আক্রা'ন্তের প্রায় ৫০ শতাংশ। সুস্থরা এখন স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। জানা যায়, আক্রা'ন্তের দিক থেকে জেলাটি ঢাকার পরেই শীর্ষস্থানে। করোনার হ'টস্প'ট খ্যাত হয়ে উঠেছিল নারায়ণগঞ্জ। কিন্তু সুস্থ হবার দিক থেকে সবার আগে এগিয়ে এ জেলাটি। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে জেলার আক্রা'ন্তরা। তবে এর মধ্যে চলে গেছে ১১০টি আক্রা'ন্ত ব্যক্তির প্রাণ। এ ছাড়াও অনেক ব্যক্তি করোনার উপসর্গে মা'রা গেছেন জেলায় যাদের পরবর্তীতে আর টেস্ট করানো হয়নি। কিন্তু কিভাবে সুস্থ হচ্ছেন করোনা আক্রা'ন্তরা!
এ বিষয়ে প্রায় ১৮৫ জন করোনা আক্রা'ন্ত রোগীর সংস্প'র্শে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ জেলা মানবতার সংগঠন 'এহসান' পরিবার জানিয়েছে চাঞ্চ'ল্যকর তথ্য। এই পরিবারটি জেলায় এ পর্যন্ত করোনা রোগীসহ ৮৩ জন মৃ'তের লাশ দা'ফন করেছে। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন থেকে এহসান পরিবারকে দায়িত্ব দেয়া হয় করোনায় আক্রা'ন্তদের ৩ হাজার ও মৃ'তদের ৫ হাজার টাকা রোগীদের সামনে গিয়ে দিয়ে আসতে। সাহ'সী এই পদক্ষেপটি বাস্তবায়ন করেছে পরিবারটি।
এহসান পরিবারের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ওয়াহিদ এ বিষয়ে বলেন, জেলা প্রশাসনের দায়িত্বটি ছিল করোনা রোগীর কাছে অনুদারের টাকা পৌঁছে দিয়ে তার স্বাক্ষর নিয়ে আসা। আমরা এ পর্যন্ত ১৮৭ জন রোগীর সং'স্প'র্শে গিয়েছিলাম। তারা কিভাবে সুস্থ হয়েছেন তা জানতে চাইলে বেশীর ভাগ রোগী জানিয়েছেন, গরম পানির গা'রগি'ল। আদা লবঙ্গ লেবু দিয়ে প্রচুর গরম পানি পান, পানি গরম করে ভাপ ও সাধারণ জ্বর ঠান্ডা কাশির ওষুধ সেবন। আর অব্যশই পরিবারের অন্য কেউ যেন আক্রা'ন্ত না হয় সে লক্ষ্যে ঘর থেকে নিজেকে আলাদা রাখা।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, করোনায় জেলায় মোট আক্রা'ন্তের প্রায় অর্ধেক মানুষ ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়েছেন। তাদের সিংহভাগই বাড়িতে থেকে চিকিৎসাসেবা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। তবে যাদের শ্বা'সক'ষ্ট বা নানা জ'টিল উপ'সর্গ ছিল তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি আরও জানান, বিশাল সংখ্যক রোগীকে দিক নির্দে'শনা দিতে প্রতিদিন টিম করে আমাদের ফোন রিসিভের মাধ্যমে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।