নারায়ণগঞ্জ: শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগে শেখ রাসেল পার্কে গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা আয়োজিত 'বাংলাদেশে কাঠামোগত হ'ত্যাকা'ণ্ড এবং নাগরিকের নিরাপত্তা' শীর্ষক গণসংলাপে বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
ধ'র্ষণে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃ'ত্যুদণ্ডের উদ্যোগের সমালোচনা করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ফাঁ'সি হচ্ছে সরকারের একটা ভাঁওতাবাজি। দেশে বড় কিছু ঘ'টলেই সরকার একটা আশার বাণী শুনিয়ে দেয়। ধ'র্ষণ ও যৌ'ন নিপীড়ন জ'ঘন্য অপরা'ধ। তবে তার চেয়েও বড় অপরা'ধ ভোট দিতে না দেওয়া। ফাঁ'সি কোনো বিচার নয়। ফাঁ'সি একটা মধ্যযুগীয় ব্যাপার। জনগণকে বিভ্রা'ন্ত করার জন্য এ ধরনের কথা বলা হয়।
শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগে শেখ রাসেল পার্কে গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা আয়োজিত 'বাংলাদেশে কাঠামোগত হ'ত্যাকা'ণ্ড এবং নাগরিকের নিরাপত্তা' শীর্ষক গণসংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন। গণসংহতি আ'ন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি তরিকুল সুজনের সভাপতিত্বে গণসংলাপে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ূয়া, অমল আকাশ, স'ন্ত্রাস নি'র্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি, পপি রানী সরকার প্রমুখ।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ঐতিহ্যবাহী নারায়ণগঞ্জ শহরের লোকসংখ্যা ৩০ লাখ। কিন্তু তাদের হাতে কোনো ক্ষমতা নেই। ত্বকীর বিচার আজও হয়নি। মসজিদে বি'স্ফোরণের ঘটনায় ৩৫ জনের মধ্যে অর্ধেকের মৃ'ত্যুর কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই। ঘটনাটি যেভাবে হয়ে থাকুক, চিকিৎসাটা তো করা যেত।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশ প্রকৃতপক্ষে একটি অকাল মৃ'ত্যুর দেশে পরিণত হয়েছে। এই অকালমৃ'ত্যু হচ্ছে রাস্তায়, নদীতে, রেলপথে, ক্রসফায়ারে, মসজিদে, কারখানায়, বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের মধ্য দিয়ে। তিনি বলেন, ধ'র্ষণ হচ্ছে ক্ষ'মতার একটা প্রয়োগ। এ কারণে ধ'র্ষণ ও নির্যাতনের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের যোগসাজশ দেখা যায়।
জোনায়েদ সাকি বলেন, আজকে এই রাষ্ট্রব্যবস্থায়, তার নিয়মকানুন, তার প্রতিষ্ঠান, তার কর্মকর্তারা যেভাবে চালাচ্ছেন তার মধ্যে আমাদের মৃ'ত্যুফাঁদ আছে। ১০০টি ধ'র্ষণের মধ্যে ৯৭টির বিচার হয় না। ধ'র্ষণ শুধু যৌন আগ্রাসন নয়, এটা হলো ক্ষমতা প্রয়োগের একটা উৎ'কট ও বীভ'ৎস প্রদর্শন।