নেত্রকোনা : নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা স্বপন চন্দ্র দাসের মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সংসদ সদস্য ওয়ারেছাত হোসেন বেলালের কর্মীদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোববার নেত্রকোনা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ মাসুদ আলম টিপু, আবুল বাশার খান, বিপুল, আ. মোমেন, আওয়াল, মাহবুব আলম বুলবুল ও জাহাঙ্গীর আলমকে আসামিকে করে মামলা করেছেন স্বপন চন্দ্র দাস। মামলা নং ১২৮(১)১৮। স্বপন উপজেলা ছাত্রলীগের উপ-বিভাগীয় সম্পাদক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা তুহিন আহম্মদ খান।
এরই মধ্যে এলাকায় বেশ সমর্থক সৃষ্টি হয়েছে তার। ছাত্রলীগ নেতা স্বপন চন্দ্র দাস তার সমর্থক। এতে ওই আসনের এমপি ওয়ারেছাত হোসেন বেলালের সমর্থকরা তুহিনের সমর্থকদের ওপর ক্ষিপ্ত হন।
শুক্রবার উপজেলার খলিশাপুর ইউনিয়ন স্কুল মাঠে ইফতার ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে জাহিদুল ইসলাম সুজন ও আরেক আওয়ামী লীগ নেতা তুহিন আহম্মদ খান। মিলাদ মাহফিল ও ইফতারে আসা সুজনের সমর্থকদের মারধর করেন এমপি বেলালের সমর্থকরা। একপর্যায়ে তারা স্বপনের মাথা ন্যাড়া করে দেয়।
এ বিষয়ে স্বপন বলেন, শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে আমি আমার সহযোগীদের সঙ্গে ইফতারে যোগদানের জন্য আসি। এ সময় এমপির সমর্থক মাসুদ আলম টিপু, মাহাবুব আলম বুলবুল, নুরুল আমিন, ফেরদৌস ও উজ্জ্বল আমাকে একটি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে যায়। পরে উপজেলা যুবলীগের সদস্য আবদুল মোমেন ক্ষুর দিয়ে আমার মাথা ন্যাড়া করে দেয়। পরে আমি রোববার ৮ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করেছি।
উপজেলা চেয়ারম্যান সুজন বলেন, আমাদের একটি শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানে তারা এভাবে বাধা সৃষ্টি করেছে। এ ব্যাপারে আমি পুলিশ সুপারকে অভিযোগ করেছি। কারণ, এমপির বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না।
তবে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মাসুদ আলম টিপু বলেন, আমি এ ধরনের কোনো ঘটনা জানি না। এটা একটি সাজানো নাটক।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের ঘটনার খবর শুনেছি। তবে লিখিত অভিযোগ পাইনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস