নেত্রকোনা: নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের কনুড়া গ্রামের ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী বর্তমানে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত জামাই আব্দুল মোতালিবসহ (৩৫) চারজনের নাম উল্লেখ করে গত ২৭ সেপ্টেম্বর আদালতের মাধ্যমে কলমাকান্দা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় সোমবার রাতে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে আব্দুল মোতালিবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে তাকে নেত্রকোনা জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার আব্দুল মোতালিব কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের কনুড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
পরিবারের বরাত দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলমাকান্দা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুর রব জানান, নির্যাতনের শিকার মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী। মোতালিব ওই বাড়ির জামাই হওয়ার সুবাদে নিয়মিত সেখানে আসা-যাওয়া করত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার সে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। হঠাৎ মেয়েটির শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হলে বিষয়টি পরিবারের লোকজনের নজরে আসে। কিছুদিন আগে অভিভাবকরা শিশুটির শারীরিক অবস্থা পরিবর্তন হওয়ায় তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসক চেকআপের পর জানায় মেয়েটি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরে তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনা খুলে বলে।
কলমাকান্দা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল করিম জানান, মেয়েটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।