নেত্রকোনা: পাঁচ বছর প্রেম করে অস্বীকার করা ও মা'রধ'র করায় নেত্রকোনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের চুক্তিভিত্তিক নাইট গার্ড শরীফুল ইসলাম শরীফ নামে এক যুবককে আ'টক করে পুলিশে দিয়েছে প্রেমিকার অভিভাবক।আ'টককৃত ওই যুবককে ছাড়াতে থানায় আসেন কিশোরগঞ্জ উপজেলার তাড়াইল থানার ধলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মবিন।
পরবর্তীতে প্রেমিকার অভিভাবক এবং স্থানীয় মৌগাতি ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে বিয়ের আলোচনা করতে থানার বাইরে বেরিয়ে যান তারা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার নেত্রকোনা সদর উপজেলার মৌগাতি ইউনিয়নের খাটপুড়া গ্রামে।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, পাঁচ বছর ধরে প্রেম করছে ছেলে-মেয়ে। এখন তাদের মধ্যে দ্ব'ন্দ্ব দেখা দিয়েছে। মেয়ের বাড়িতে ছেলেকে আ'টকের পর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। মেয়েটি ছেলেকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু ছেলে চায় না। মেয়ের বিরুদ্ধে এসএমএস দেখাচ্ছিল ছেলে। দুই পক্ষ চেয়ারম্যানসহ অভিভাবক নিয়ে থানায় এসেছেন। তারা আলাপ-আলোচনা করে বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নেত্রকোনা সরকারি কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে মোবাইলে পরিচয় হয় শরীফের। পাঁচ বছর আগে তাদের মধ্যে প্রেম হয়।
কিন্তু মেয়েটি জানতো না যে, শরীফ নেত্রকোনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে নাইট গার্ডের চাকরি করে। চাকরি করেও চলাফেরা তার বড় অফিসারের মতোই ছিল। দামি মোটরসাইকেল ব্যবহারে মেয়েটিকে ধোঁকায় ফেলে শারী'রিক স'ম্পর্ক গড়ে তোলে। যে কারণে মেয়েটি ওই ছেলেকেই বিয়ে করতে চায়। কিন্তু শরীফ যখন খোঁজ পায় মেয়েটি অসচ্ছল পরিবারের তখন থেকে তার সঙ্গে শুরু করে খারাপ ব্যবহার।
ফোন বন্ধ রাখা গা'লিগা'লাজ করাসহ সম্পর্কের অ'বনতি দেখা দেয়। এমনকি বিয়ে করবে না বলে অস্বীকার করে। এরই ধারাবাহিকতায় ছেলের ফোন বন্ধ পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শরীফের বন্ধু পাসপোর্ট অফিসের দালাল চাঁনখার মোড় এলাকার ফিরোজের মাধ্যমে মেয়ে খবর পায় শরীফ অফিসে। পরে সেখানে ছুটে আসলে তাকে মা'রধ'র করে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে আবার খবর পেয়ে মেয়ের বাড়িতে গেলে ছেলেকে আ'টক করে পুলিশে দেয়া হয়।
অভিযুক্ত শরীফ জানায়, আমাকে গা'লিগা'লাজ করায় গত দুই বছর ধরে তার সঙ্গে সম্পর্ক নেই।
খবর পেয়ে শরীফের আত্মীয়-স্বজন ও তাড়াইল থানার ধলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মবিন ছুটে আসেন। এ সময় মেয়ের পক্ষের মৌগাতীর চেয়ারম্যান থানায় যান। উভয় পক্ষের কথা শুনে শরীফ রাজি হলে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। পরবর্তীতে তাদের বিয়ে দেন দুই চেয়ারম্যান।