নেত্রকোনা: নেত্রকোনার পূর্বধলার ঘটনা। গত ৯ মে ব্যাংক থেকে একটি ফোন চুরি করে নিয়ে যান এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় থানায় জিডি করেন ফোনের মালিক রফিকুল ইসলাম। জিডির প্রেক্ষিতে আজ বুধবার ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ দেখছিল পুলিশ। কাকতালীয়ভাবে আজ ঠিক ওই সময়টাতেই ব্যাংকে আসেন ফোন চুরি করা সেই ব্যক্তি। এসময় তাকে শনাক্ত ও আটক করে পুলিশ। পরে স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। আটক ওই ব্যক্তির নাম হীরা মিয়া। আটক হীরা মিয়া উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের ধোবা হোগলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের তৃতীয় স্ত্রীর প্রথম পক্ষের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ মে টাকা উত্তোলন করতে অগ্রণী ব্যাংকের পূর্বধলা শাখায় আসেন উপজেলার ঘাগড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। তিনি ব্যাংকের কাউন্টারে স্যামসাং এম০২এস মডেলের একটি মোবাইল ফোন রেখে ব্যাংক কর্মকর্তার কাছে চেক জমা দিচ্ছিলন। তখন সুযোগ বুঝে মোবাইল ফোনটি হাতিয়ে নেন হীরা মিয়া। ঘটনার দিনই রফিকুল ইসলাম পূর্বধলা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এর প্রেক্ষিতে আজ দুপুরে পুলিশ ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছিলেন। ওই সময়ই হীরা মিয়া তার বোনকে নিয়ে টাকা উত্তোলন করতে ব্যাংকে আসেন। তখনই তাকে শনাক্ত করা হয়।
পুলিশ আরো জানায়, হীরা মিয়ার বাড়ি সিলেটে। ছোটবেলায় তার বাবা মারা যান। পরে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের ধোবা হোগলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের কাছে তার মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। তার মা সৌদি আরব প্রবাসী। সে এলাকায় নানান অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, হীরা মিয়ার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।