পাবনা: পাবনা ঈশ্বরদীতে ব্যাপ্টিস্ট খ্রিস্টান মিশনের ফাদার লুক সরকারকে (৫৩) গলা কেটে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) আঞ্চলিক নেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকালে পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- পাবনা সদর উপজেলার নূরপুর গাংকোলা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে রাবিক ওরফে রাব্বি (২২), একই উপজেলার সিঙ্গা পালপাড়া গ্রামের আব্দুল রহিম শেখ (২৮), নাজিরপুর নিয়ামতুল্লাহপুর গ্রামের নওশের প্রমাণিকের ছেলে আব্দুল আলিম (৩৬), মজিদপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মুসনুর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম ওরফে তুলিব (২২) ও সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার বাগাবাড়ি গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে আমজাদ হোসে (৩০)।
পুলিশ সুপার (এসপি) আলমগীর কবির বলেন, রাজধানী ঢাকা, পাবনা ও সিরাজগঞ্জে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সবাই নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন জেএমবি’র সদস্য।
তিনি জানান, গ্রেপ্তাররা পুলিশের কাছে স্বাকীর করেছেন, তারা ধর্মযাজক লুক সরকারকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলেন।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ঈশ্বরদী উপজেলার আওতাপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে ওবায়দুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ অক্টোবর ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সড়কের ভাড়া বাসায় ঢুকে লুক সরকারকে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। পরের দিন ৬ অক্টোবর ঈশ্বরদী থানায় লুক সরকার নিজেই বাদী হয়ে অজ্ঞাত তিন যুবককে আসামি করে মামলা করেন।
ঘটনার দিন লুক সরকারের স্ত্রী পদ্মা সরকার জানান, তার স্বামী খ্রিস্টান মিশনের ফাদারের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি হোমিও চিকিৎসক হিসেবে বাসায় প্র্যাকটিস করতেন।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, আহত লুক সরকার পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সড়কের মনিরুল ইসলামের বাড়ি ভাড়া নিয়ে পরিবারসহ বসবাস করে আসছেন।
পাশাপাশি তিনি ধর্ম প্রচার করছিলেন। তবে কারা, কি জন্য তাকে হত্যার চেষ্টা করেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
১২ অক্টোবর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস