ঈশ্বরদী, পাবনা: বখাটের কাছ থেকে সম্ভ্রম রক্ষার জন্য বাড়ির মালিকের সহযোগিতা চেয়েছিলেন এক গৃহবধূ। কিন্তু সম্ভ্রম রক্ষার পরিবর্তে বাড়ির মালিকের সহযোগিতায় গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পাবনার ঈশ্বরদী থেকে গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার বাড়ির মালিক হলেন আবদুল আজিত (৪৮)। অপরজন হলেন মো. সাকিব ইসলাম (২৮)। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবদুল আজিত ও সাকিব পরিকল্পিতভাবে গৃহবধূকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
ঈশ্বরদী থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ মাসখানেক আগে দুটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। তাঁর স্বামী সৌদিপ্রবাসী। গৃহবধূ মেয়ের বিয়ে দিয়ে ছেলেকে নিয়ে এখানে থাকতেন। তিনি প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ করেন, বাড়ি ভাড়া নেওয়ার পর থেকে সাকিব বিভিন্ন সময় তাঁকে উত্ত্যক্ত করতেন। প্রায়ই তাঁকে খারাপ ইঙ্গিত দিতেন ও ভয় দেখাতেন। গত মঙ্গলবার ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর থেকে সাকিব মুঠোফোনে, ঘরের জানালা দিয়ে খুব বেশি উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। এতে ভয় পেয়ে আত্মরক্ষার্থে বাড়ির মালিক আবদুল আজিতের শরণাপন্ন হন তিনি। আজিত তাঁকে অভয় দিয়ে বলেন, ‘আমি বিষয়টি দেখছি’। গৃহবধূকে ঘরের বাইরে আসতে বলেন আজিত। বাইরে এলে আজিত ও তাঁর সহযোগী সাকিব কাপড় দিয়ে তাঁর মুখ বেঁধে বাড়ির পেছনে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
ওই গৃহবধূর অভিযোগ, ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে তাঁকে দেখে নেবেন বলে হুমকি দেন বাড়ির মালিক। সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে রাতেই তিনি তাঁর ভাইকে পুরো ঘটনা জানান। গতকাল বুধবার রাতে ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ঈশ্বরদী থানায় গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন তিনি।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, গৃহবধূর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনে আবদুল আজিত ও সাকিবের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করা হয়। রাত একটার পর অভিযান চালিয়ে বাঘইল ঠাকুরপাড়ার বাড়ি থেকে আজিত ও সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।-প্রথম আলো