পাবনা থেকে : হাঁটা চলার সময় তার গম্ভীর ভাব। পা চলে ধীর গতিতে। ঝকঝকে পুরো শরীর। বেশ রাগ নিয়ে তাকিয়ে থাকে। আশপাশে সঙ্গী তার তিন-চারজন। নাম তার টাইগার। তবে সত্যিকারের টাইগার (বাঘ) নয়।
পাবনার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের বৃ-গুয়াখড়া গ্রামের মিনারুল ইসলাম ফিজিয়ান জাতের এই গরুটির নাম দিয়েছেন টাইগার। গরুটিকে লালন-পালন করেছেন নিজের সন্তানের মতো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আকৃতি বেড়েছে। চেহারা ও স্বভাবে সে এখন সত্যিই টাইগার।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, দৈর্ঘ্য ৯ ফুট আর উচ্চতা সাড়ে পাঁচ ফুট গরুটির ওজন এখন ৪৪ মণ। বিশালাকৃতির এই ষাঁড় গরুটি একনজর দেখতে প্রতিদিন দূর-দুরান্ত থেকে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ।
শুধু উৎসুক মানুষই নন, ক্রেতারাও আসছেন মিনারুলের বাড়িতে। দাম-দর করছেন বিশালাকৃতির ষাঁড় গরুটিকে কেনার জন্য। পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে টাইগার নামের ওই গরুর দাম হাঁকা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা।
অথচ বছরখানেক আগে ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা দিয়ে গরুটি প্রতিবেশী একব্যক্তির কাছ থেকে কেনেন তিনি। এখন সেই ছোট গরু খামারি মিনারুলকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। প্রতিদিন বেশ আদর-যত্নের মধ্যে রাখতে হয় টাইগারকে।
এমন কথা জানিয়ে খামারি মিনারুল বলেন, প্রতিদিন তিন বেলা গোসল করাতে হবে টাইগারকে। ৩ কেজি ছোলা, ভুষি-ভুট্টা, খৈল মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩০ কেজি খাবার দিতে হয়। এর সঙ্গে সবুজ ঘাসও খাওয়ানো হয়।
তিনি বলেন, খুব বেশি গরম সহ্য করতে পারে না টাইগার। সে জন্য সার্বক্ষণিক ফ্যানের বাতাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন কাঙ্ক্ষিত দামে বিক্রি করতে পারলেই খুশি হবেন বলে জানালেন গরুর মালিক মিনারুল ইসলাম।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো.মহির উদ্দিন জানান, উপজেলার মধ্যে মিনারুল নামের ওই ব্যক্তির গরুটি সবচেয়ে বড়। তিনি সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে গরুটিকে লালন-পালন করেছেন। গরুটির ভালো দাম পাবেন বলে প্রত্যাশা করি।