সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০২০, ০৯:২৫:১৪

ইউএনওকে মা'রতে তেড়ে গেলেন মেয়র, ছুটে এসে আ'টকালেন অন্যরা

ইউএনওকে মা'রতে তেড়ে গেলেন মেয়র, ছুটে এসে আ'টকালেন অন্যরা

পাবনা থেকে : পাবনার বেড়া উপজেলা আ'ইনশৃং'খলা কমিটি ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় উপজেলা পর্যায়ের সকল কর্মকর্তার সামনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আনাম সিদ্দিকীকে লা'ঞ্ছিত করেছেন অ'ব্যাহ'তিপ্রাপ্ত বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বেড়া পৌরসভার মেয়র আব্দুল বাতেন। 

তবে মেয়র বাতেন তার বি'রু'দ্ধে ওঠা অ'ভিযো'গ অ'স্বী'কার করে বলেছেন, উপজেলা পরিষদের উন্নয়নের স্বার্থে তিনি সভায় কিছু কথা বলেছেন। সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই ঘ'টনা ঘ'টে। ঘ'টনার বিস্তারিত উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অ'ভিযো'গ দিয়েছেন। 

পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ এবং সভায় উপস্থিত একাধিক জনপ্রতিনিধি বিষয়টির সতত্যা নি'শ্চি'ত করেছেন। পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, সোমবার বেড়া উপজেলা আইনশৃ'ঙ্খলা কমিটি ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা ছিল। সভায় বেড়া পৌর মেয়র আব্দুল বাতেন উপজেলার কাজিরহাট ও নগরবাড়ি ঘাট ইজারা সং'ক্রা'ন্ত আগে তৈরি করা একটি লিখিত রেজুলেশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আনাম সিদ্দিকীকে অনুমোদনের জন্যে চা'প দেন। 

কবীর মাহমুদ বলেন, বিষয়টি নীতিমালা বহি'র্ভূত হওয়ায় ইউএনও তা অনুমোদনে অস্বী'কৃতি জানালে মেয়র বাতেন তাকে মা'রতে তে'ড়ে আসেন। উপস্থিত অন্য সদস্যদের হ'স্তক্ষে'পে ইউএনওর গায়ে হাত দিতে পারেননি। তবে তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আ'চরণ করেছেন বলে জেনেছি। আমরা এ ব্যাপারে সরকারের উর্ধ্বতন মহলে অ'বহি'ত করেছি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দে'শনা অনুযায়ী পরবর্তী প'দক্ষে'প গ্রহণ করা হবে।

এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও সকল কর্মকর্তাদের মধ্যে তী'ব্র ক্ষো'ভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আনাম সিদ্দিকী জানান, একটি অনা'কা'ঙ্খি'ত ঘ'টনা ঘ'টেছে। ঘ'টনার বিস্তারিত আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অ'বহি'ত করেছি। এর চাইতে বেশি কিছু আর বলতে পারছি না।

এ বিষয়ে বেড়া পৌরসভার মেয়র আব্দুল বাতেন ইউএনওকে লা'ঞ্ছি'ত করার অ'ভিযো'গ অস্বীকার করে বলেন, নগরবাড়ী ঘাটের নিলামের ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা ও কাজীরহাট ঘাটের নিলাম ডাকের ৬০ লাখ টাকা সাবেক এমপি ও ঘাটের ইজারাদার খন্দকার আজিজুর রহমান আরজুর কাছ থেকে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদায় না করে উপজেলা পরিষদকে আর্থিকভাবে দু'র্ব'ল করছে। এ বিষয় নিয়ে পরিষদের সভায় কথা হয়েছে। আমি আরও বলেছি, সাবেক এমপির কাছ থেকে এই টাকা আদায় করা না হলে আমি উপজেলা পরিষদের কমিটি থেকে প'দত্যা'গ করবো। সভায় নানা আলোচনা ও বি'ত'র্ক হতেই পারে। এর চেয়ে বেশি কিছু নয়। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে