মঙ্গলবার, ০৩ মে, ২০১৬, ০৪:২৬:৫০

ধরা খেল গৃহবধূর জামাই-শাশুড়ি

ধরা খেল গৃহবধূর জামাই-শাশুড়ি

পাবনা : গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ধরা খেল জামাই-শাশুড়ি।  পাবনার ঈশ্বরদীতে ছালমা খাতুন নামে এক গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী সাহাবুল মল্লিক (৩৭) ও শাশুড়ি কোমেলা খাতুনকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

৩ মে মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার বাঘইল গ্রামের বিল থেকে তাদের আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা দিয়ার বাঘইল গ্রামের মোজাহার মল্লিকের ছেলে ও স্ত্রী।

প্রসঙ্গত, ২ মে সোমবার আগুনে দগ্ধ ছালমা খাতুন  রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।  ছালমার আত্মীয়-স্বজনরা অভিযোগ করেন, ছালমার গায়ে পেট্রল ঢেলে তার স্বামী আগুন ধরিয়ে দেয়।  এতে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তার।

এ ঘটনায় মৃত ছালমা খাতুনের চাচা আলম মোল্লা বাদী হয়ে ২ মে রাতে ছালমার স্বামী সাহাবুল মল্লিক ও শাশুড়ি কোমেলা খাতুনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

মৃত ছালমা পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল পূর্বপাড়া সাকো এলাকার নুরা ঘরামীর মেয়ে।  ছালমা খাতুন ঈশ্বরদী ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিমান কুমার দাশ জানান, নিহত ছালমার চাচার দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।  মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ছালমার মরদেহ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, ছালমা খাতুন তার মেয়ে শারমিনের বিয়ের জন্য ব্যাংকে ৫০ হাজার টাকা জমা করেছিলেন।  ওই টাকা তুলে দেয়ার জন্য তার স্বামী সাহাবুল তার ওপর চাপ দিয়ে আসছিলেন।  এ নিয়ে রোববার রাতে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সাহাবুল ছালমার গায়ে পেট্রল ছিটিয়ে  আগুন ধরিয়ে দেয়।  

ছালমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।  সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।  সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত আটটার দিকে মারা যান ছালমা।
৩ মে, ২০১৬/এমটনিউিজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে