পাবনা : মাত্র ৫ হাজার টাকার জন্য চাচাত ভাইকে খুনের পর লাশ ৮ টুকরো করার খবর পাওয়া গেছে। এ লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে পাবনা শহরের কৃষ্ণপুর মহল্লার একটি বাসায়।
চাচাতো ভাইয়ের হাতে খুন হয়েছেন গাজী ট্যাংকের বিক্রয় প্রতিনিধি আক্তারুজ্জামান ওরফে সরোজ মোল্লা (৩২)।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে তার খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত সরোজ কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার নান্দিয়া গ্রামের ফারুক ওরফে আলতাব মোল্লার ছেলে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে তার চাচাত ভাই রাহেনুজ্জামানকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ।
পাবনার পুলিশ সুপার আলমগীর কবির এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ৮/১০ দিন আগে আক্তারুজ্জামান ওরফে সরোজ মোল্লা চাকরির সুবাদে পাবনা শহরের কৃষ্ণপুর মহল্লার জামিল হোসেনের বাসার নিচতলায় ভাড়ায় থাকতেন। তার সাথে একই কক্ষে থাকতেন তার চাচাতো ভাই রাহেনুজ্জামান।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে সরজ মোল্লার কোনো খোঁজ না পেয়ে গাজী ট্যাংক কোম্পানির পাবনাস্থ কর্মকর্তারা বিষয়টি পাবনা সদর থানা পুলিশকে জানায়। সরজের চাচাতো ভাই রাহেনুজ্জামানকে সন্দেহ করার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়।
আলমগীর কবির জানান, পরে মঙ্গলবার রাতে রাহেনুজ্জামানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে সরোজকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী রাত ১১টার দিকে শহরের কৃষ্ণপুর মহল্লার ভাড়া বাসা থেকে সরোজ মোল্লার ৮ টুকরো মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, মাত্র ৫ হাজার টাকা না পেয়ে রাহেদুজ্জামান তার চাচাতো ভাই সরোজ মোল্লাকে মসলা বাটার শিল দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে।
তিনি জানান, পরে তার মৃতদেহটি ধারারো দা দিয়ে কেটে কেটে ৮ টুকরো করে বস্তাবন্দি অবস্থায় কৃষ্ণপুরস্থ ভাড়া বাসার বাথরুমের ছাদের ওপর রেখে দেয়। আটক রাহেনুজ্জামান নিহতের সম্পর্কে চাচাতো ভাই। একই গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে।
এ ব্যাপারে নিহত সরোজের চাচা মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে রাহেদুজ্জামানকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
৪এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম