তোমার আদরে আমি কুড়িয়েছি কত খ্যাতি,
তোমার পরশ নিত্য প্রত্যাহ ছিল মোর সাথী.
তুমি আমার ক্ষুদ্র মনে ছিলে আশার আলো,
তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুম হত জমকালো.
খেলার চোটে একটু আঘাত যেত যদি লেগে,
মালিশ করে সারাটি রাত কাটিয়ে দিতে জেগে.
বৃষ্টিতে ভিজে আমার যদি একটু জ্বর হতো,
দুহাতে খোদার কাছে পরিয়াদ করতে কতো.
হাসি কান্না হার জিতে তুমি ছিলে প্রেরণা,
শাড়ীর আচলে গুছিয়ে দিতে সকল যন্ত্রণা .
আমার আবদার কখনো অপূর্ণ রাখনি তুমি,
ঋনের পর ঋন দিয়ে শুধু করে দিলে ঋণী.
নিঃস্বার্থতার জটিল প্রমাণ তুমি আমার মা,
আমার কাছে তুমি আমার সোনার প্রতিমা.
মাগো আমি ছিলাম অবুঝ তোমায় তখন বুঝতাম না,
মিষ্টি হাসির আড়ালে কি লুকিয়ে আছে তা খুঁজতাম না.
দুষ্টামি আবদারে বিরক্ত করতাম তোমায় বারংবার,
মেটাতে না পারলে আবদার করতাম কত চিৎকার.
মাগো আমি বড় হয়েছি বুঝতে শিখেছি তোরে,
তোর লাগিয়া নিত্য আমার শুধুই পরান পোড়ে .
অভাগা আমি তোকে ছেড়ে থাকি অনেক দুরে,
দেখিনারে আজ তোকে কাটাস দিন কেমন করে.
মাগো আমি আজ নিষ্ঠুর! প্রতিদিন দেখিনা তোর মুখ,
আমায় ভেবে ভেবে হয়তো জ্বলে ভরাস তোর চোখ.
মা মন থেকে ভূলিনি তোকে হয়তো দেখিস না তুই,
তোকে নিয়ে লিখা কবিতা পড়তেই যেন তোকে ছুই.
তোর স্মরণে একটা না মা, লিখেছি কবিতা শত,
তোকে লিখতে লিখতে মা কতদিন করেছি গত.
ফুলকুড়ির এই সংখ্যাটা মা নিবি যখন হাতে,
একটু হাতের পরশ বুলাস আমার কবিতাতে.
চশমাটা চোখে দিয়ে একটু তাকাস অপলকে,
আর কিছু দিন পর আসছি আমি তোর বুকে.
কবি: মোঃ আরিফুল ইসলাম সবুজ
২৫ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস