স্পোর্টস ডেস্ক: উদ্দেশ্য তাদের বাংলাদেশকে সরাসরি বিশ্বকাপে না খেলতে দেওয়াই ছিল। কী অদ্ভুত, এখন সেই বাংলাদেশই ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের সাত নম্বরে, আইসিসির বেঁধে দেওয়া নিয়মে এখন হাঁসফাঁস করছে র্যাংকিংয়ের ৯ নম্বরে থাকা পাকিস্তান।
ইংল্যান্ডের সঙ্গে টানা চারটি ওয়ানডে হেরে আট থেকে ৯-এ নেমে গেছে পাকিস্তান। এখন আইসিসি চিন্তায় পড়েছে, যদি আগামী বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান আটে না উঠতে পারে, তাহলে ২০১৯ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান 'লাভের ম্যাচ' যে জলে পড়ে যাবে!
লন্ডনের দ্য টেলিগ্রাফের খবর, আইসিসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকতা নাকি এ নিয়েই এখন ভীষণ চিন্তিত। কেননা, এরই মধ্যে ব্রডকাস্টার (টেলিভিশন স্বত্বাধিকারী স্টারস্পোর্টস) থেকে নাকি আইসিসিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২০১৯ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ তাদের চাই-ই চাই...।
এ অবস্থায় আইসিসির কপালে ভাঁজ। কেননা আগামী বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সূচি অনুযায়ী পাকিস্তানের হাতে দুটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ছয়টি ওয়ানডে ম্যাচ রয়েছে। এর বাইরে রয়েছে আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের ম্যাচগুলো।
এই সূচি দেখে পাকিস্তানের কোচ মিকি আর্থারও বেশ চিন্তিত। 'ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে দুটি সিরিজ আর অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ম্যাচ। কোনোটাই সহজ নয়। আর দলের এখন যে পারফরম্যান্স তাতে আরও উন্নতি করতেই হবে।' ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে পাকিস্তান এ পর্যন্ত মাত্র তিনটি সিরিজ জিতেছে। যার দুটি শ্রীলংকার বিপক্ষে আর একটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
পাকিস্তান যদি সরাসরি ২০১৯ বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে না পারে, তাহলে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে খেলতে হবে। সেখান থেকে উত্তীর্ণ হয়ে তবেই তাদের বিশ্বকাপ খেলতে হবে।
এ অবস্থায় টেস্টের এক নম্বরে থাকার আনন্দের চেয়ে ওয়ানডেতে তলানির কষ্টটাই বেশি ভোগাচ্ছে পাকিস্তানকে। তবে বাংলাদেশকেও সতর্ক থাকতে হবে এই র্যাংকিং নিয়ে। নিচের সারির দল আফগানিস্তানের সঙ্গে আসন্ন সিরিজের একটি ম্যাচ হারলেও তিনটি করে রেটিং পয়েন্ট কমে যাবে বাংলাদেশের।
৪ আগস্ট,২০১৬/এমটি নিউজ২৪/আ শি/এএস