শেষের কবিতায় শুরু করলাম
কবিগুরুর কালের যাত্রার ধ্বনি
প্রেম, বিদ্রোহ, সাম্যের গান
নজরুলের চল্ চল্ রণ শুনি।
বঙ্কিমের পথিক পথ হারায়ে
শ্রীকান্তের উইলে বাঁচতে চায়
গৃহদাহে পুড়ে সব দিদিরা
শরৎ বাবুর কাছে যায়।
পুতুল নাচে অতসী মামী
পদ্মা নদীর মাঝি
মানিকে মানিক চেনে খেলারাম
নিষিদ্ধ লোবানে রাজি।
সাত সাগরের মাঝি আসে
পান্জেরি হাতে নিয়ে
নতুন শিশু পাঠিয়েছে ধরায়
শুকান্ত ছাড়পত্র দিয়ে।
সোজন বাদিয়ার ঘাটে আজ
কে নকসী কাঁথা বুনে
সাঁঝের মায়ায় সুফিয়া কামাল
স্মৃতির পাতা গুণে।
ভাতের বদলে মানচিত্র খাবে
কবি রফিক আজাদ
বঙ্গ ভাষায় আব্দুল হাকিম
সালাম-বরকতে নাজাত।
সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের
বলে গুণের হুলিয়া জারি
একটি ফুলকে বাঁচবো বলে
প্রতিজ্ঞা করেছি তারই।
আজো বাতাসে লাশের গন্ধে
রুদ্রের আকাশের ঠিকানায় চিঠি
জীবনান্দের বনলতা সেন
রূপসী বাংলায় জ্বলে মিটিমিটি।
সোনালী কাবিনে কাবিলের বোন
কালের কলসে বন্দী
চাচা কাহিনী দেশে বিদেশে
ফুড কনফারেন্সের সন্ধি।
শহীদ কাদরির প্রিয়মতাকে জানাই
নির্ভয় অভিবাদন
আজো শুনতে পান বেগম রোকেয়া
অবরোধবাসিনীর কাঁদন।
কবি: অ্যাড. সোহেল এমডি রানা
৭ সেপ্টেম্ববর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস