এই আনন্দময় মানবসত্তার প্রায়
অর্ধেকটা জুড়ে পাখিমন
পাতাটুনি কিংবা আলতা মুনিয়ার বেশে
উড়ে উড়ে চলে গেছে প্রিয় ব্রহ্মপুত্রের
শান্ত জলের পাড় ধরে;
যেতে যেতে দেখেছি এ জল মিলেছে
দিগন্তপ্রসারী সন্ধ্যার আলো ছায়ায়;
রোদসী দুপুরে তপ্ত হাওয়া কিংবা
শিশিরভেজা রাতের সলমাপসরে।
কুলকুল জলের ছন্দ তখন ভর করেছে
আমার পাখায়!
আমি উড়ে চলেছি আমার গণ্ডি পেরিয়ে
জলের বয়ে চলা পথ ধরে!
শুয়ে শুয়ে বয়ে যাওয়া দিহাঙের জল পেরিয়ে আমি
ধীরে ধীরে অগ্রগামী হয়েছি সিয়ংয়ের পাড় বেয়ে;
এরপরই হদিস মিলেছে জাঙপোর রুপালি জলের।
আমি এ জলও পেরিয়ে যাই অবলীলায়,
কৈলাসের চূড়ায় গিয়ে বসি একলা একা।
আমার মুঠোয় তখন জড়ো হয়েছে
পৃথিবীর সমস্ত ভালোলাগা;
আমার সামনের বিস্তীর্ণ সরোবরে
এ জলরাশি হিমালয়ের পাঁজর ছুঁয়ে ছুঁয়ে বাঁচে।
তখনই এই মানবমন
নিজের অজান্তেই খুঁজে বেড়ায়
আমার ফেলে আসা মায়ার বসত,
ব্রহ্মপুত্রের পাড়ঘেঁষা কাশফুল জীবন।
০৭ নভেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম