সিরাজুম মুনিরা অধরা: মার্কিন নির্বাচন নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষের আগ্রহের শেষ নেই প্রয়োজন থাকুক আর নাই থাকুক এই ইস্যুতে ঘুম হারাম। কিন্তু মিয়ানমার সরকার যেভাবে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর অভিযানের নামে বর্বর হামলা চালিয়েছে তা নিয়ে বিশ্ববাসীর কোনো আগ্রহই দেখছি না।
বিনা অপরাধে অসহায় মুসলিমরা সরকারের ক্রোধের স্বীকার। ৯ অক্টোবর সেনা নিহতের ঘটনায় ক্লিয়ারেন্স অপারেশনের নামে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে সেনাবাহিনী, যা চোখে দেখলে সহ্য করার মতো না। যেন তারা মানুষই না, নির্দ্বিধায় সেনাবাহিনী তাদের ওপর গুলি চালাচ্ছে। আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছে বাড়িঘর, অমানবিকভাবে হত্যা করছে সংখ্যালঘুদের,যারা বেঁচে আছে, তাদের ওপর চলছে নির্মম অত্যাচার, এভাবে আর কতদিন?
বর্তমান সুচী সরকার বরাবরই মুসলিম বিদ্বেষী। নির্বাচনেও কোনো মুসলমান তার দল থেকে প্রার্থী হতে পারেনি, বিপুল ভোটে জয় লাভ করে রোহিঙ্গাদের কি সমস্যা সমাধান করলেন তিনি? উল্টো চড়াও হলেন তাদের ওপর, তার দৃষ্টিতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি।
১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয় অং সান সুচিকে। ২১ বছর পর ২০১২ সালের জুনে সে পুরস্কার গ্রহণ করেন। মুসলমানদের ওপর চরম অশান্তির জন্য ২০১৬ সালে তার সে পুরস্কার কি ছিনিয়ে নেয়া উচিত না?
বাংলাদেশের সরকারে উচিত মিয়ানমারের ঘৃণ্য এ কাজের প্রতিবাদে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া। সম্মানিত সব বাংলাদেশিদের প্রতি অনুরোধ- যে যার পরিসর থেকে মিয়ানমার সরকারের এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ করুন। সেটা যেভাবেই হোক প্রয়োজনে ঘেরাও করা হোক মিয়ানমারের দূতাবাস (হে আল্লাহ তুমি রক্ষা করো অসহায় মুসলমানদের)।
১৮ নভেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম