এ আর রাজু: ইহুদি প্রধান দেশ ইসরায়েল। দেশটিতে মাত্র ১৮ শতাংশ আরব বসবাস করেন। যাদের বেশির ভাগই মুসলিম। সংখ্যায় কম থাকায় মুসলমানরা নানা কারণে প্রায়ই নির্যাতিত হচ্ছে।
এমন কি চলতি মাসের ১৪ তারিখে দেশটির প্রধান রাজনৈতিক দল আযান বন্ধে ইসরায়েল পার্লামেন্টে একটি বিল উত্থাপন করে। তাদের অভিযোগ আযানের কারণে শব্দ দুষণ হচ্ছে। যা জেরুজালেম ও তার আশ পাশের এলাকায় শব্দ দূষণ করছে। যদিও ইসরাইলী পার্লামেন্ট (নেসেট) মেম্বার আহমাদ ও আহমাদ তিবি’র কারণে বিলটি এখনো ঝুলে আছে। তারা নিয়ন্ত্রণের বিলের ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদ জানান। এমনকি বিল উত্থাপনের দিন সংসদে আযানও দেন।
দেখুন আল্লাহ’র কি কুদরতি মুসলমানদের প্রাচীন ধর্মীয় উপসানালয় নিয়ে ষড়যন্ত্রের ঠিক কয়েকদিন পরই দেশটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় হাইফা এলাকায় গত (মঙ্গলবার) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ফলে একের পর এক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঘরবাড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। দেশটির ফায়ার সার্ভিস-পুলিশ স্টেশন তিন দিন টানা চেষ্টা
করেও তা নেভাতে পারছে না। তারা যতই চেষ্টা করছে বরং সে আগুন ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সর্বশেষ তথ্যমতে, দেশটির সরকার বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফায়ার সার্ভিসকে কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানান। এটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ফল কিনা সেটা খতিয়ে দেখবেন বলে মিডিয়াকে জানান।
অথচ ফায়ার সার্ভিস আগুনের এই ভয়াবহতা যতই নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে তা পর্যাক্রমে বাড়ছে। এই আগুন জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরের ঘরবাড়ির জন্যও হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ৮০ হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আর এ থেকে আমাদের বড় ধরণের শিক্ষা নেওয়া উচিত। এ পর্যন্ত ইসলামী স্থাপনা কিংবা আল্লাহ’র ঘরের ওপর যতবার আক্রমন এসেছে তত বারই মহান আল্লাহ প্রাকৃতিক উপায়ে জলেমদের শিক্ষা দেন।
বি.দ্র: একান্তই পাঠকের ব্যক্তিগত মতামত। এর জন্য এমটিনিউজ দায়ী নয়।
২৫ নভেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর