পাঠকই লেখক: ইহুদি প্রধান দেশ ইসরায়েল দখলদার রাষ্ট্র হিসেবে অনেকের কাছে পরিচিত। দেশটির বিরুদ্ধে অভিযোগ একের পর এক ইস্যু দাঁড় করিয়ে দিনের পর দিন জোর করে ফিলিস্তিন ভূখন্ড দখলে নিচ্ছে তারা। বাড়াচ্ছে তাদের সীমানা। তাই দুই দেশের মাঝে অলিখিত যুদ্ধ লেগেই আছে দিনের পর দিন।
তবে এবার সেই দখলদার ও চিরশত্রু ইসরায়েলের সাহায্যে এগিয়ে এলেন মুসলমানরা। গত মঙ্গলবার থেকে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় হাইফা এলাকায় গত (মঙ্গলবার) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নেভাতে ইসরায়েলকে সাহায্যে এগিয়ে এলেন সেই নির্যাতিত ফিলিস্তিনিরা। তারা ইসরায়েলের ফায়ার সার্ভিস টিমের সঙ্গে কাজ করছেন দাবানল নেভাতে।
ইসেরায়েলে এই দাবানলের ফলে একের পর এক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঘরবাড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। দেশটির ফায়ার সার্ভিস-পুলিশ স্টেশন ছয় দিন টানা চেষ্টা করেও তা নেভাতে পারছে না। তারা যতই চেষ্টা করছে বরং সে আগুন ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
সর্বশেষ তথ্যমতে, ভয়াবহ দাবানল উত্তর অঞ্চল থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরের অবৈধ ইহুদি বসতির কাছে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে সেখানকার লোকজন পালাতে শুরু করেছে।
এ বিষয়ে ইসরাইলি পুলিশের এক নারী মুখপাত্র জানান, রামাল্লাহ শহরের কাছে হালামিশ বসতি থেকে শনিবার প্রায় এক হাজার ইহুদি বসতি স্থাপনকারী চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
দেশটির সরকার বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফায়ার সার্ভিসকে কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানান। এটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ফল কিনা সেটা খতিয়ে দেখবেন বলে মিডিয়াকে জানান।
অথচ ফায়ার সার্ভিস আগুনের এই ভয়াবহতা যতই নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে তা পর্যাক্রমে বাড়ছে। এই আগুন জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরের ঘরবাড়ির জন্যও হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ২ লাখ লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।-রাজু
২৭ নভেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর