কালের গর্ভে হারিয়ে গেলেন টাইগার রাসেল
আল-আমিন শিবলী: বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে যখন বাঁ হাতি পেসার চরম অকাল, তখনই জাতীয় দলে ঢুকেন সৈয়দ রাসেল। ২০০৫ সালে অভিষেক হওয়ার পর ২০০৭ সাল পর্যন্ত ছয়টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। ওয়ানডেতেও একই বছর অভিষেক হয় তার। এরপর ২০১০ সাল পর্যন্ত মোট ৫২ টি ম্যাচে লাল-সবুজ জার্সি পড়েছেন তিনি।
সৈয়দ রাসেল ৩ জুলাই ১৯৮৪ সালে যশোর জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তিনি ছিলেন একজন বামহাতি মিডিয়াম পেস পেসার। টেস্ট খেলায় তাঁর অভিষেক হয় ২০০৫ সালে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। একদিনের খেলায় অভিষেক হয় শ্রীলঙ্কার সেই সফরেই।
জেমি সিডন্স কোচ থাকাকালীন সময়ে হঠাৎ বাদ দেওয়া হয় সৈয়দ রাসেলকে। তারপর থেকেই কালের অজান্তে হারিয়ে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই বাঁ হাতি পেসার।
ছয় বছরে ৫২টি ওয়ানডে খেলে মোট ৬১টি উইকেট দখল করেছিলেন রাসেল। রান কম দেওয়া এবং ইনিংসের শুরুতে ব্রেকথ্রো এনে দেওয়ার দারুন ক্ষমতা ছিলো তার। সময়ের অন্য যেকোনো বোলারের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার সাথে অভিষেক ম্যাচেই ১০ ওভারে ৪২ রান দু’টি উইকেট নিয়ে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন রাসেল।
বগুড়ায় শ্রীলঙ্কাকে হারানোর ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন এই বাঁ হাতি পেসার। ১০ ওভার মাত্র ২৮ রান দিয়ে নিয়েছিলেন দু’টি উইকেট। এর মধ্যে দু’টি মেডেন ওভারও নিয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ভারতকে হারানোর ম্যাচেও দারুণ বোলিং করেছিলেন রাসেল। ওই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে তেমন রান করতে পারেনি ভারত। এতে রাসেলের অবদানই ছিলো সবচেয়ে বেশি। ১০ ওভারে ৩১ রান দিয়ে দু’টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ২০০৭’র বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর ম্যাচেও রাসেল দারুণ অবদান রেখেছিলেন। ওই ম্যাচে ১০ ওভার ৪১ রান দিয়ে তিনি নিয়েছিলেন দু’টি উইকেট।
সব মিলিয়ে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের হয়ে খেলার মতো সামর্থ্য ছিলো রাসেলের। কিন্তু নিয়তির পরিহাসে সেই তিনি-ই এখন কাপড়ের দোকানে বসে সময় কাটাচ্ছেন। রাসেলের এ পরিণতি জাতীয় নির্বাচকদেরও কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা। বাংলাদেশ ক্রিকেটের শুরুর যুগের অনেক প্রতিভার মতো রাসেলকেও হয়তো হারিয়ে যেতে হবে মহাকালের অন্ধকারে।
২৬ অক্টোবর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস
�