রফিক এস আলম: টরেন্টো নিউজ জানায়, রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় এবং এই গণহত্যায় সমর্থনের দায়ে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে দেয়া কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি উঠছে দেশটির বিভিন্ন মহল থেকে। ইন্টারনেটে এ বিষয়ে একটি পিটিশন ক্যাম্পেইন চলছে, যেখানে পাঁচ দিনে প্রায় ৯ হাজার মানুষ সই করেছেন।
শনিবার টরেন্টোতে কয়েকটি সংগঠন আয়োজিত এমন এক সমাবেশে অংশ নেন খোদ কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। রাখাইনে চলমান সেনা অভিযান সম্পর্কে ফ্রিল্যান্ড বলেন, মিয়ানমার সরকারের অভিযান মূলত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করার উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হচ্ছে। কানাডার সরকার এ বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে।
সু চিকে ২০১২ সালে কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয়া হয়। কানাডার ১৫০ বছরের ইতিহাসে বিশ্বের মাত্র ছয়জনকে সম্মানসূচক এ নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে। কানাডার আইনে সাধারণ নাগরিক ও সম্মানসূচক নাগরিকদের মধ্যে কোনো পার্থক্য উল্লেখ করা হয়নি। অন্য দিকে দেশটির প্রচলিত আইনে কোনো নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা কানাডা বা কানাডার বাইরে সরাসরি বা অন্য কোনো উপায়ে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধে জড়িত হলে, কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রে ইন্ধন জোগালে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে কানাডায় সু চিরও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মতো শাস্তি হতে পারে!
বি:দ্র: সম্পাদক দায়ী নয়
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস