পাঠকই লেখক : ক্লাসের সবার চেয়ে লম্বা এবং সুন্দরী শান্ত মেয়ে পরী। ক্লাসের কোনো ছেলেদের সাথে কোনো কথা বলত না সে। এমনকি ক্লাসে অন্য কোনো মেয়েদের সাথেও কথা বলতো না শুধু পরীর প্রিয় দুজন বান্ধবী ছাড়া।
তার চোখ দুটি ছিল মায়াবি, তার ঠোট ছিল গোলাপের মতো লাল। অন্য আরেকটি ছেলে সুজন। পড়ালেখায় যেমন ভালো ঠিক তেমনি ফাইজলামি বেশি করত। পরীকে সে প্রথম পরীর বাড়িতেই দেখেছিলো বারান্দায়।
ক্লাসে পরীকে দেখে সে চমকে উঠে। সে জানতোই না পরী তার সাথে একই ক্লাসে পড়ে। কিছু দিন পর দেখতে দেখতেসেই ভালো লাগা ভালোবাসায় রুপ নেয়। এমনকি সুজন ক্লাসে সব সময় পরীর দিকে তাকিয়ে থাকত।
যার কারণে তার হারামি বন্ধুরা বুঝে যায় যে সে পরীকে ভালোবাসে। জানা জানি হতে হতে একপর্যায়ে পরীও জানতে পারে সুজন তাকে ভালবাসে। কিন্তু সুজনকে পরীর একটু ও ভালো লাগতো না। সুজন বুঝতে পারছিলো না সে কিভাবে প্রপোজ করবে।
তার মাথায় নানা চিন্তা। যদি পরী স্যারকে বলে দেয় সবাই জানাজানি হয়ে যাবে। যদি অভিভাবক কে ডাকা হয়। সে তো কাউকে মুখ দেখাতে পারবে না। কারন তার পরিবারের সবাই ভালোভাবে স্কুল পাশ করে গেছে অভিভাবকের নিকট কোনো নালিশ যায় নি।
সে যে কি করবে বুঝতেই পারছেনা। একপর্যায়ে সুজন ডিসিশেন নিয়েই ফেললো, যে করেই হউক পরীকে তার ভালবাসার কথা বলতে হবে।যেই ভাবা সেই কাজ। সুজন পরীকে প্রপোজ করে। কিন্তু পরী রেগে গিয়ে সুজনকে অপমান করে এমনকি প্রিন্সিপাল এর কাছে বিচার দিয়ে দেয়।
যার কারণে সুজনকে স্কুল থেকে বেড় করে দেয়ার সিধান্ত নেয়া হয়।তবু সুজন এতো অপমানের পরে ও পরীর পিছু লেগে থাকে। এবং পরীকে সবসময় ফলো করে। সুজন পরীকে তার জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসে কিন্তু পরী তা বুঝতে পারে নি। কিন্তু সুজন হাল ছাড়েনি।
সুজন পরীকে ভালোবাসে দুইবছর আগে থেকেই। কিন্তু পরী জানে এক বছর হলো। পুরো একটা বছর সুজন পরীর পিছনে আঠার মতো লেগেছিল যার কারণে পরী বাধ্য হয় সুজন এর সাথে বন্ধুত্ব করতে। এবং পরী তাকে শর্ত দেয় বন্ধু হতে পারবে প্রেমিকা নয়।
সুজনও রাজি হয়ে যায়। তার ভালবাসা আড়াল করে বন্ধুত্ব চালিয়ে যায়। সব সময় তাদের মধ্যে কথা হতো। দুজনই দুজনার খবর নিতো প্রত্যেক মুহুর্তের। অনেক ভালই চলছিল তাদের বন্ধুত্ব কিন্তু হঠাং করে পরী বদলে যায়।
পরী তার সিম বদলে ফেলে এবং সুজনকে সব সময় এড়িয়ে চলে।পরীর সাথে কথা না বলতে পেরে সুজন পাগলের মতো হয়ে যায়, কারো সাথে কথা বলে না। নিজের হাত কেটে পরীর নাম লিখে সুজন। কিন্তু পরী তার ভালোবাসা বুঝলো না। এখনও সুজন পরীকে পাগলের মতো ভালবাসে।
লেখক : জাকারিয়া আহমেদ
এমটিনিউজ/এসএস