আল-আমিন শিবলী: আমি তো অবাক হয়ে গেলাম শুভাশীষের কাণ্ডজ্ঞান দেখে!! যা অকেটাই সীমা লঙ্ঘন বলা যায়! এ কেমন শুভাশীষ রায়কে ভালোবেসে ছিলেন মাশরাফি! আজ সেই শুভাশীষই মাশরাফির দিকে তেরে গেলেন। মাশরাফি তখন হয়ত ভাবছিলেন, এ কাকে দেখছেন তিনি! ‘‘যাকে খুব ভালোবাসে ছিলাম!’’ তাই হয়ত মাশরাফি শুধুই অবিশ্বাসের ভঙ্গিতে তাকিয়ে থাকতে দেখলাম শুভাশীষের দিকে। তখন হতভম্ব মাশরাফি কোনো প্রত্যুত্তর করেননি শুভাশীষকে!
হয়ত বেয়াদব শুভাশীষের জানা নেই, মাশরাফি স্থান কোথায় এবং তার স্থান কোথায়? বাংলাদেশের জনপ্রিয়তম একজন ব্যক্তিটির নাম মাশরাফি বিন মুর্তজা। ক্রিকেটার হিসেবে যেমন জনপ্রিয়, তার চেয়েও বেশি জনপ্রিয় একজন ব্যক্তি হিসেবে। ১৬ কোটি বাঙালির কাছে মাশরাফির জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। ম্যাশের আদরমাখা শাসন পেয়ে অভ্যস্ত জাতীয় দলের জুনিয়র ক্রিকেটাররা।
যার হাত ধরে বাংলাদেশ পেয়েছে ইতিহাস গড়া অনেক জয়ই। আর সেই মাশরাফিকে মানুষ চেনবে না, জানবে না, এমন কোন প্রশ্ন আসতেই পারে না! শুভাশীষ তোমাকে কে চেনে? মাশরাফির নাম তো বাংলার ইতিহাসের পাতার সেদিনই লেখা হয়েছে, যেদিন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বিশ্বকে তাকমা লাগিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোয়াটার ফাইনাল খেলছে। এরপর আবার পাকিস্তান, ভারত, জিম্বাবুয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, ইংল্যান্ডকে নাকচুবানি দিয়েছেন।
এক কথা বলা যায় যে, অতীত মাশরাফি এখন নেই, এখন তাঁকে দেখেই সালাম দেন অনেক গ্রেট গ্রেট ক্রিকেটাররা। টাইগার দলের এই অধিনায়ককের গল্প এখনেই শেষ হয়নি। এখন মাশরাফির আর্দশ মেনে বাংলাদেশের তরুণরা লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়ানোর জন্য উপচে পড়েছে। এমনকি, তাঁর হাতের বোলিং জাদুকাঠিতে মেতে উঠছে বর্তমান প্রজন্মের তরুণারা। আবার যার হাতের বোলিং জাদুতে মুগ্ধ হয়ে মাঠ কিংবা মাঠের বাহিরে ‘সাবাস বাংলাদেশ’ স্লোগানে কম্পিত করে তুলেন গোটা বিশ্ব। সেই মাশরাফি বিন মুর্তজার সাথে আজ এমন ভঙ্গিতে এমন আচরণ করে ঠিক করোনি শুভাশীষ? দ্রুত মাশরাফি কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত তোমার!! নতুবা ক্ষমা করবে না ক্রিকেটপ্রেমীরা। মাশরাফি ভক্তকুলও এখনও কিন্ত হতভম্ব তোমার কাণ্ডজ্ঞান দেখে। তোমার প্রতি খেপে আছেন তারা।
ইতি-
ম্যাশ ভক্ত আল-আমিন শিবলী।
লেখাটি Alamin Shibli এর ফেসবুক আইডি থেকে সংগ্রহীত। সম্পাদক দায়ী নয়।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/ জে এম/আই এস