পাঠকই লেখক ডেস্ক : অধ্যাপক সাহেবের এক ছাত্রী যে এসএসসিতে মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছিল এবং এইচএসসি প্রথম বর্ষের শুরুর দিকে পড়ালেখার পারঙ্গমতায় ক্লাসের সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল, সে-ই কিনা দেখা গেল, হঠাৎ করে ক্লাসে বেশ অমনোযোগী। মাঝে মধ্যে অনুপস্থিত থাকে।
ফলাফল আগের মতো নেই। এর মধ্যেই একদিন অধ্যাপক সাহেব দেখলেন, রাস্তায় নিরিবিলি এক জায়গায় সে একটি ছেলের সাথে কথা বলছে। তিনি আর দেরি করলেন না, ওর মাকে ডেকে পাঠালেন। তাকে জিজ্ঞেস করলেন আপনি কি মেয়ের খবর রাখেন? উত্তর দিলেন, রাখি। জিজ্ঞেস করলেন, কী খবর রাখেন? এবার চুপ করে রইলেন মা। জিজ্ঞেস করলেন, একটি ছেলের সাথে ওর অ্যাফেয়ারের ব্যাপারে জানেন?
বললেন, জানি। কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? কোনো উত্তর নেই। জিজ্ঞেস করলেন বিষয়টি কি ওর বাবা জানেন? বললেন, বাবা শুনলে মেরে ফেলবে। আপনি যদি পারেন একটু সাহায্য করুন, আমি সারা জীবন ঋণী থাকব।’ পরদিন তিনি মেয়েকে ডাকলেন। কথা বললেন।
বুঝতে পারলেন একেবারে না বুঝে না ভেবে জড়িয়ে পড়েছে মেয়েটি। অনেকক্ষণ বুঝালেন। বললেন, ছেলেটি তোমার সহপাঠী, সমবয়সের। তুমি তাকে তুই বলে সম্বোধন কর। সুতরাং জীবনসঙ্গী হিসেবে মোটেও ম্যাচিং নয়। তা ছাড়া তুমি এসএসসিতে এত ভালো ফলাফল করেছ।
শিক্ষাজীবন শেষ হতে এখনো অনেক পথ যেতে হবে। এ দীর্ঘ পথ চলতে যদি বিপথে যাও, ক্যারিয়ার শেষ। তোমার যদি পরবর্তী ফলাফল ভালো না হয় ক’দিন পর এ ছেলের কাছেও তোমার মূল্য কমে যাবে। এ সম্পর্ক টিকবে না।
তাই এখনই ইতি টানো। শিক্ষককে কথা দিলো, চেষ্টা করবে। তিনি ওকেও বললেন, ওর মাকেও বললেন ক’টা দিন ঘরের বাইরে না যেতে। এরপর মাকে নিত্যসঙ্গী হয়ে থাকতে বললেন। বাবাকে ঘটনাটি জানিয়ে রাখতে বললেন। ক’দিন পর দেখা গেল, কাজ হয়েছে। মেয়েটি আবার পড়ালেখায় মনোযোগী হলো। তার এইচএসসি রেজাল্টও আশানুরূপ ভালো হয়েছে।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস