লেখক :জাকারিয়া আহমেদ
আচ্ছা তুমি কি সত্যিই আমাকে ভালোবাস? (ওয়াহিদা)
হুম অনেক বেশি ভালোবাসি (জাকারিয়া)
-তা কতটুকু ভালোবাসো আমায় একটু বলো তো? (ওয়াহিদা হেসে হেসে কথাটি বলল)
যতটুকু ভালোবাসা দিলে তোমাকে কখনই কষ্ট পেতে হবে না।যতটুকু ভালোবাসলে তোমার জিবনে থাকবে শুধুই আনন্দ।যতটুকু ভালোবাসা দিলে তোমার নয়ন থেকে এক ফুটো পানি ঝড়বে না।(জাকারিয়া)
আহারে এতো ভালোবাসা। আচ্ছা আমার জন্য তুমি কি কি করতে পারবে?(ওয়াহিদা)
-যা যা করলে তুমি খুশি হয়ে আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসবে তাই। (জাকারিয়া)
আচ্ছা আমি যুদি বলি তুমি আত্নহত্য করো। তাহলে আমি অনেক বেশি খুশি হবো।কারণ আমি তোমাকে ভালোবাসি না।তুমি আত্নহত্যা করলে আমি অনেক অনেক বেশি খুশি হবো(ওয়াহিদা)
-সেটা অবশ্যই পারবো না।কারণ আত্নহত্য করলে তো আমি মারা যাবো। আর আমি মারা গেলে তোমার অন্য কারো কাছে বিয়ে হয়ে যাবে।আর সে কোনো ভাবেই আমার মতো করে তোমাকে ভালোবাসাবে না।তোমাকে কষ্ট দিবে।আর সেই কষ্টে তোমার দুই নয়নে অঝরে পানি ঝড়বে।যেটা আমার আত্নাকে অনেক বেশি কষ্ট দিবে।তাই আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাচ্ছি না এটাই ফাইনাল। (জাকারিয়া)
-আহারে বেচারা, আমার জন্য সব করতে রাজি।কিন্তু আমি যেটা বলি সেটা তিনি করতে পারবেন না।আচ্ছা শোনো তাহলে মরতে যখন পারবা না।তখন তোমার হাত কেটে রক্ত দিয়ে আমার একটা ছবি একে দেখাও।তাহলে বুঝবো তুমি আমাকে ভালোবাসো।(ওয়াহিদা)
-আরে তুমি এতো বোকা কেনো।তুমি জানো না। হাত কেটে রক্ত দিয়ে তোমার ছবি আঁকতে হলে অনেক রক্তের দরকার। আর আমি যুদি ছবি আকতে গিয়ে সব রক্ত দিয়ে দেই। তাহলে হয়তো আমি মারা যাবো না হলে আমি সিওর আমাকে ছয় মাস হাসপাতাল থাকতে হবে।
আর আমি অনেক বার বলেছি আমি তোকে না দেখে এক দিন ও থাকতে পারবো না।আর ছয় মাস। আমি ঐগুলা পারবো না।আরে পাগলি তুই বুঝতে চাস না কেনো?
আমি তোকে ভালোবেসে মরতে চাই না তোকে ভালোবেসে বেচে থাকতে চাই হাজার বছর(জাকারিয়া)
-তুই আমার সামন থেকে যাবি না আমি এখান থেকে চলে যাবো (ওয়াহিদা মাথা নিচু করে কথাটি বলল)
-আচ্ছা আজ চলে যাচ্ছি আর তোর সামনে আসবো না বলে যেই জাকারিয়া চলে যাচ্ছিলো সাথে সাথে ওয়াহিদা জাকারিয়ার হাত ধরে ফেলেছে।
-ওয়াহিদা কেঁদে কেঁদে বলল ঐ পাগল আমাকে রেখে কোথায় চলে যাচ্ছিস। তুই কেনো বুঝিস না আমিও তোকে অনেক বেশি ভালোবাসি। বলেই ওয়াহিদা জাকারিয়াকে জড়িয়ে ধরেছে।
- আরে পাগলি আমি তো তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাচ্ছি না।ক্ষৃধা লাগছে তাই বাসায় খেতে যাচ্ছিলাম।কারণ সন্ধ্যা থেকে তো তোমাদের বাসার নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে,তোমাকে দেখার জন্য।তখন তো আর খাওয়া হবে না।(জাকারিয়া)
তার পর তারা দুজন হয়ে যায় একজন।ভালোবাসায় ভরে যায় তাদের জীবন।
(আর হ্যা ওয়াহিদা জাকারিয়াকে উপরের যে কথাগুলো বলেছিলো সেটা কিন্তু ওয়াহিদার মনের কথা ছিলো না।শুধু জাকারিয়াকে পরিক্ষা করতেছিলো।তখন ওয়াহিদা মন থেকে অনেক বেশি কষ্ট পাচ্ছিলো।ওয়াহিদার মনে কান্নার নদী বয়ে চলতেছিলো।তবু ও সে জাকারিয়াকে কথা গুলা বলে)
ভালো থাকুক তাদের ভালোবাসা
(এখন আপনাদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ। আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে কখনই এভাবে পরিক্ষা করবেন না।)
হয়তো সে আপনার বলা কথাগুলা সত্যি ভেবে। কোনো রকম দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারে।)
এমটি নিউজ২৪.কম/এমআই