ছিনতাইয়ের ভদ্র কৌশল: প্রেসক্লাব থেকে বাসে আসছিলাম ধানমন্ডি ১৫ এর দিকে। যথারীতি বাসে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। বাসটা ঝিগাতলা আসতেই বেশ হুড়োহুড়ি লেগে যায়। বাসের পেছনের দিকের যাত্রীরা ভিড় ঠেলে নামার আগেই অনেক যাত্রী বাসে উঠে যায়। হুড়োহুড়ির মধ্যে হঠাৎ করেই এক ছেলে 'এই লোক আমার পকেট থেকে মোবাইল টেনে বের করেছে, এই লোক ছিনতাইকারী' বলে চিৎকার করতে থাকে।
লোকটা মুহূর্তেই ছেলেটাকে ধাক্কা দিয়ে বলে, 'এই ছেলে কথা ঠিকমত বলো। যাকে তাঁকে দেখলেই ছিনতাইকারী মনে নয়?'
সবাই ই ছেলেটাকে দোষারোপ করে। ভিড়ের মধ্যে ছেলেটারই বুঝতে ভুল করেছে বলে তাঁকে থামতে বলে। কিন্তু ছেলেটা বারবার বলতে থাকে আমার ভুল হয়নি, উনি ই আমার মোবাইল টান দিয়েছে।
মূলত লোকটার গেট-আপ দেখেই কেউ সন্দেহ করে না। মাঝবয়সী, ক্লিন শেভড, সাদা শার্টে বেশ সুন্দর করে ইন করা। উনি নিজেকে সরকারি চাকুরীজীবী পরিচয় দিয়ে ছেলেটাকে যা-তা বলতে থাকে। লোকজনও আফসোস করতে থাকে। আহারে! একজন সরকারী চাকুরীজীবীকে ছিনতাইকারী সাব্যস্ত করে কি বেইজ্জতি!
সবার সন্দেহটা হয় যখন ওই লোকের হয়ে আরেকজন সাফাই গাইতে থাকে। চেনা নেই, জানা নেই এমন কারো হয়ে কেউ এতো বেশি সাফাই গাইবে না। তখন ওই লোককে পরিচয়পত্র দেখাতে বললে তিনি দেখাতে পারেন না। একজন সরকারী চাকুরীজীবী এই দুপুর বেলা অফিস রেখে বাহিরে কি করে এমন প্রশ্নেও তিনি চুপ। তিনি একটা সুন্দর ব্যাগ বহন করলেও ব্যাগ পুরোটাই খালি ছিল।
সবার আর বুঝতে বাকি থাকে না এই দুইজন কি কারণে বাসে উঠেছে। ইউল্যাবের কিছু ছেলে ছিল, ওরা বলতে থাকে শালাদের ক্যাম্পাসে নামা, তারপর দেখছি। নাহ, আমি আর দেখিনি। আমি আগেই নেমে গেছি।
যাক গে, ভদ্রস্থ গেটআপ থেকে সাধু সাবধান!
এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস