সুদিপ্ত কুমার নাগ: কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে ঢুকলে বেশিরভাগ স্ট্যাটাসের শেষে লেখা দেখা যাচ্ছে যে, ‘একদিন তো মরেই যাব!’ ‘একদিন তো মরেই যাব’ এই স্ট্যাটাসটা রীতিমতো ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে।
বিভিন্ন রকমের স্ট্যাটাসে ‘একদিন তো মরেই যাব’ এই উক্তি এবং এর চিকিৎসা পদ্ধতির কথা জানাচ্ছেন সুদিপ্ত কুমার নাগ
স্ট্যাটাস :
এত লেখাপড়া করে কী লাভ? একদিন তো মরেই যাব।
চিকিৎসা :
যে ছেলে এই টাইপের স্ট্যাটাস দিয়েছে, সেই ছেলের বাপের কাছে এই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট পাঠাতে হবে। তারপর ওই ছেলের বাপ উত্তমমধ্যম দেওয়ার মাধ্যমে ‘একদিন তো মরেই যাব’ ভাইরাসের চিকিৎসা দিয়ে দেবে।
স্ট্যাটাস :
এত টাকাপয়সা ইনকাম করে কী লাভ? একদিন তো মরেই যাব।
চিকিৎসা :
যে ব্যক্তি এই স্ট্যাটাস দিছে, তার বউয়ের কাছে এই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট সেন্ড করে দিতে হবে। এরপর সেই ব্যক্তিকে তার বউ ঠিকমতো চিকিৎসা দিয়ে দেবে।
স্ট্যাটাস :
এত প্রেম করে কী লাভ? একদিন তো মরেই যাব।
চিকিৎসা :
যে ছেলে এই স্ট্যাটাস দিয়েছে তার প্রেমিকাকে এই স্ট্যাটাসে মেনশন করতে হবে। এরপরে ব্রেকআপের মাধ্যমে ওই ছেলে সঠিক চিকিৎসা পেয়ে যাবে।
স্ট্যাটাস :
এত চাকরিবাকরি আর অফিসের কাজ করে কী লাভ? একদিন তো মরেই যাব।
চিকিৎসা :
যে ব্যক্তি এই স্ট্যাটাস দিয়েছে, সেই ব্যক্তির অফিসের বসকে এই স্ট্যাটাসটা দেখাতে হবে। এরপর চিকিৎসা নিয়ে আর ভাবতে হবে না। আশা করি বস চিকিৎসা দিয়ে দেবেন। কেউ চিকিৎসা জানতে চাইলে, আপনি এরকম স্ট্যাটাস দিয়ে আপনার বসকে মেনশন করুন। পরেরদিন অফিসে গেলে চিকিৎসা পেয়ে যাবেন!
স্ট্যাটাস :
এত সিজিপিএ দিয়ে কী হবে? একদিন তো মরেই যাব।
চিকিৎসা :
যে ছাত্র এই স্ট্যাটাস দিয়েছে, সেই ছাত্রের ডিপার্টমেন্ট বা অনুষদের ডিনের কাছে এই স্ট্যাটাসের প্রিন্ট কপি সেন্ড করতে হবে। এরপর ওই ডিনই এই ভাইরাসের চিকিৎসা সঠিক মাত্রায় দিয়ে দেবেন।
(পাঠক কলাম বিভাগে প্রকাশিত মতামত একান্তই পাঠকের, তার জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়)
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস