পাঠকই লেখক ডেস্ক : সুখে হাসি, দুঃখে কাঁদি এইত জীবন। তবে, হাসি আর কান্নার মাঝে এই তফাৎ কখন কি বয়ে চলে তা বলা মুশকিল! অবকাশ নয়ন মোর জুড়ায় আঁখি, কলিন বেলায় অবকাশের মেলায়। যখন ঐ কলিনদ্বয় নড়-বড়ে প্রহর এর পর প্রহর অতিক্রান্ত। বেলা-অবেলা নাহি, সময়-অসময়,সকাল-সন্ধ্যা রজনী অবসান হয় তাও মোর সময়ের ফোঁড় বহে দশের ভাটায়।
মাঝি-সাঁজি পাড়ে বাদে বাড়ি, বৈশাখ -চৈএ যায় আষাঢ়ের থম-থম পানি তাও নাহি মানে বাঁধন বাড়ি। কৃষক করে চাষ, মাঝি দেয় পাড়ি নৌকা, নববিধান সময়ের সাথে যায় বহে কালের পরিক্রমা।গাঁয়ে নববধূর আগমন হয় তিন বাড়ি ফেলে ছুটে আসে তারে দেখিবার লাই! পাশের বাড়ির কলিম চাচার বউ দেখে বউ কই "ও-মাগো নয়া বেডিদি বেবাক সুন্দর"
“জীবন বলতে গেলে মানুষ তার জন্ম থেকে মৃত্যুর মধ্যখানে যতটুকু সময় পায়, তাই তার জীবন কাল” এর মাঝে লোকায়িত, কৈশোরকাল -যৌবনকাল -বৃদ্ধকাল! এইত জীবন।
কবি গুরুর ভাষায়
_________ "যৌবন রে, তুই কি কাঙাল, আয়ুর ভিখারি। মরণ-বনের অন্ধকারে গহন কাঁটা-পথে তুই যে শিকারি।
মৃত্যু যে তার পাত্রে বহন করে, অমৃতরস নিত্য তোমার তরে; বসে আছে মানিনী তোর প্রিয়া মরণ-ঘোমটা টানি। সেই আবরণ দেখ রে উ_তারিয়া মুগ্ধ সে মুখখানি "
কৈশোরকালের রঙের মাঝে কাটে নির্বার দিন। বয়স যখন হাটি-হাটি পা-পা করে ৪-৫ এ ছুঁয় ছুঁয় তখন হাতে-খড়ি গঠে বিদ্যাদান শিক্ষার পথে গমন ঐ বিদ্যাপীঠে।
এক-দু-তিন........ সাত রং চিন্তে সময় যায় বয়ে স্থির স্থিরতায়। কথা নেই বার্তা নেই হুট করে একদিন বিদ্যা বিতরণী গুরুজন নানান রঙে -ঢংঙে ছলা-কৌশলে জিজ্ঞাস করে বসে বাবা তুমি বড় হয়ে কি হবে? ব্যাপারটা শুধু তোমার বেলায় নাহ্! তোমার ন্যায় প্রতিটা নব ফুটন্ত কলিকে প্রশ্ন করে থাকে।
যেমনটা তোমার বেলায়ও সবার সাথে পাল্লা দিয়ে বলে থাকি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট কিংবা শিক্ষক নামের পেশা! সবাই সবার খেয়াল খুশী মতো বলে থাকি। নলেজ আলোকপাত করলে দেখবেন কেউ প্রবাসী হওয়ার মত পেশা বলি না!
না মানে ইচ্ছা কিংবা কৌতূহলীপনায় বলে না অামি বিদেশ যাব! অাজকাল বাস্তবতায় কিন্তু ঠিক তাই ঘটছে যা বলি নাই তাই অাজ চোখের সামনে ভাসমান! জীবন নামক খেলায় শত শত প্রান সময়ের আড়ালে বিচরন করে অাছে প্রবাস প্রানে।দূরে বসে বুক ফাটে না মুখ ফাটে শত হৃদয়! থাক!!
থাক!! অাবেগ! বিবেকই যে সব। বেলা অবেলায় অাবেগ পাশ দিয়ে অাসে যায়,কথা বলে,চুলকানি দেয়,তাতে কি? অাবেগ মানেই'ত অা- বেগ! না মানে বেগের মানেই অাবেগ চুলোক তোমার অনুভূতিগুলো অাবেগ এর সাথে অাবেগ মানে হরমনের প্রভাব! অামি বিজ্ঞানের ছাত্র বলে কি তা অাজ সাহিত্যের ভাষার মাঝে মেরে দিলাম!
ব্যাপারটা কেমন না?
অারে ভাই যুক্তি দিলাম! তাতে মুক্তি নাহি পাইলাম! খারাপ কি? বন্দি'ত হলাম! ইহা এক প্রকারর যৌবনের কথা বল্লাম এতক্ষন! জীবন সংগ্রামে সবচেয়ে কঠিনতম পথ এই যৌবনে। এক নিরে ভিড়ঁ বাধিঁয়ে কৈশোরসুলভ অাচরন যেখানে সুভা পায় না। চারিপাশ হতে যখন বেখেয়ালি ভাবে টকবগে লাল চোখ অার তেতু কথার ধ্বনির গুনঁজন বহে এইত যৌবন! জীবনের মানে কি বুঝে নাও! জীবন অনিশ্চয়তার দোলাচলে দুলছে? এমত বানী'ত যৌবনই কোনেই শুনে থাকি!
যে যৌবন গেল নিপাতে তাহার তরে শুধু হাহাকারী বানী বহে অদম্য যৌবন আমার কুঁকড়ে যায়, আমি হয়ে পড়ি শতোর্ধ্ব বৃদ্ধ- যার বেঁচে থাকার অদম্য আকাঙ্খা আর কথা বলে না। এইত অকেজো যৌবন! অাজ কাল বড্ড ব্যস্ততম জীবনপথ! কেননা, কর্মের কোন কারবার নাই তাও কত কত কাজ অার কাজ! এক কথায় প্রকাশ অলসগতি নিয়া অাছি অসময়ের মাঝে সময় পাড়ে! যৌবনের কাল বলে কথা! যৌবনই জীবন, কিভাবে? কেন? যুক্তি? তর্ক?
কত কি!!! না বুঝার মাঝেও এক ধরনের কৌতূহলীপনা কাজ করে যা বুঝে গেলে অার কাজ করে না!
যার ফলে অামি-অামরা যা বুঝি না তা বুঝার পিছনে দিন-রাত ঘুরাপাক খেতে অনিহা প্রকাশ করি না! বুঝতেই নদীর জলে হৈল ফালায়! যৌগিক প্রায়োগিক যনজাল জীবন হতে সমাধিত যৌবনই জীবন!
সব লিখা-খেলা'ত এখানেই! মরলেও যৌবন কি কর্মে কতটা নিহিত করেছিলাম ধর্মে তার হিসেবটাই'ত সর্ব প্রথম ধরিবে! রস-কস-সিংগা-বুল-বুল কই কি করলাম যৌবনায় তাই গেঠে পোটে দিবে! হাঁসি -অানন্দ, দুঃখ মাখা সুখ চোখের ললনা সবই যে করে ছলনা এই যৌবনা! যৌবনই জীবনের শরেষঠ সময়! জীবন এর মানে খুঁজা কিংবা বুঝা! এইত যৌবন।
বাস্তবতা কি? এই যৌবন! এক বাক্যচারন যৌবনই জীবন বাঁকিটা সময় অতিক্রম কিংবা অাধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে তৈল এ বলি টাইম অতিবাহিত !!!
অামরা মানব চিরস্থায়ী নয়, বার্ধক্যে রূপান্তর হয়ে একসময় জীবন নামের সম্পদটিও নশ্বর পৃথিবী ত্যাগ করে। জগদ্বাসী প্রথমা শিশু-কৈশোরীপনা অতিবাহিত করে যৌবনই প্রবেশদ্বার! আমার মতে, যৌবনই জীবন। শৈশব/কৈশোর সে তো খেয়ালিপনা। বৃদ্ধকাল? সে তো অন্যের ভরসায় বেঁচে থাকা। করুণার জীবনকে জীবন বলে না।
লেখা :- সাইফুল ইসলাম খান
এমটিনিউজ২৪/এম.জে-এস