প্রতিশোধ- দ্যা রিভেঞ্জ
পাঠকই লেখক ডেস্ক: আজ রিধিতার কলেজে ফাংশন ছিল। একটা ছেলে অনেক ভাল গান করছে। নিজে গিটার বাজিয়ে গান টা করেছে।অনেক হ্যান্ডসাম & গূড লুকিং। চেহারায় একটা মায়া মায়া ভাব আছে।চোখ গুলো অনেক গভীর।রিধিতা ও তাদের কলেজের সেরা ১০জন সুন্দরীর ১জন। ছেলেটাকে আগে কখনোই কলেজে দেখে নাই রিধিতা। রিধিতা অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী।
তাই ভাবছে কাল ছেলেটাকে গিয়ে কলেজে খুজবে।
.
.
পরদিন কলেজে গিয়ে রিধিতা জানতে পারলো ছেলেটা কলেজে নতুন।ট্রানফার নিয়ে এসেছে। ফাইনাল ইয়ারে পড়ে। তাদের ডিপার্টমেন্ট এ। নাম নিশো। রিধিতা সময় বুঝে নিশোর সাথে কথা বলতে গেলো।
.
.
:আপনি অনেক ভাল গান করেন।
:ধন্যবাদ।
:আমরা কি বন্ধু হতে পারি?
:আমি এই কলেজে & ঢাকায় নতুন। তাই বন্ধু পেলে তো ভালই হয়।
: তাই? আমি রিধিতা, আপনার ডিপার্টমেন্ট এ ২য় বর্ষের।
: আমি
:থাক আমি সব জানি।
তারপর একে অপরের নাম্বার দেয়া নেয়া শেষে বিদায় নিল।
.
.
তারপর ফোনে কথা, রাত জেগে চ্যাটিং, কলেজে আড্ডা, মাঝে মাঝে নিশোর বাইকে ঘুরতে যাওয়া, সব কিছুই গল্পের মত করে চলছে। ৬ মাসে এভাবে দুজন দুজনার অনেক কাছে চলে আসে।রিধিতা নিশো এর প্রেমে পড়ে যায়। আসলে শুধু রিধিতাই নয় কলেজের বেশির ভাগ মেয়ের ক্রাশে পরিনত হয় নিশো। সবার মুখে শুধু একটাই নাম নিশো নিশো নিশো। আর এজন্যই রিধিতা আরোও বেশি নিশো কে পেতে চায়।
.
.
রিধিতা নিশো কে প্রপোজ করে।নিশো ও ২দিন সময় নিয়ে হ্যা বলে।কিন্তু নিশো রিধিতাকে আগের মতই সময় দেয় & বিহ্যাভ করে।কিন্তু রিধিতা ভাবে আগে তো বন্ধু ছিলাম এখন প্রেমিকা। আগের থেকে একটু বেশি ঘনিষ্ঠ তো হতেই পারে।
.
.
রিধিতা একদিন নিশো কে বলল আজ তার মন অনেক খারাপ। নিশো রিধিতাকে নিয়ে লং ড্রাইভ এ যায়। তারা একটা নির্জন জায়গায় যায়। জায়গা টা অনেক সুন্দর ছিল।
.
.
কিছুদিন পর,
রিধিতা নিশো কে বলে,
:নিশো আমাদের বিয়ের জন্য বাড়িতে কবে বলবা?
:তোমার আর আমার বিয়ে হবে না কখনোই।
:মানে কি নিশো?
:মানে কিছুই না, তুমি ফাঁদে পা দিছ।মনে পড়ে আজ থেকে একবছর আগের কথা,
হিমেল আহসান হিমু নামে একটা ছেলের সাথে তোমার সম্পর্ক ছিল?
:হ্যা ছিল, কিন্তু সেটা তো সিরিয়াস ছিল না, টাইমপাস ছিল।
......
হিমু আমার একমাত্র ছোট ভাই ছিল।
আমার কলিজার টুকরা।(নিশো চিতকার করে) আমি নিলয় আহসান নিশো, আমি ওর অভাগা বড়ভাই যে তার একমাত্র ছোট ভাইকে বাঁচাতে পারে নাই।
তুমি কি বলেছিলে হিমু কে?
প্রেম কিভাবে করে সেটার টেষ্ট করছো ওর সাথে প্রেম করে? আমার ভাই অনেক বেশি আবেগপ্রবণ ছিল। তোমার জন্য সেদিন সুইসাইড করেছিল আমার ভাই।সুইসাইড করার আগে আমাকে এই ডায়রি টা পার্সেল করেছিল।তোমার পুরো বায়োডাটা ছিল এই ডায়রি তে।
..
...
তোমার জন্য আর কিছুই জানার দরকার হয়নি আমার, তোমার সম্পর্ক এ এত কিছু এখানে আছে যা তুমি নিজেও জানো না।আমার ভাইয়ের শেষ ইচ্ছা ছিল তোমার উপর যেন আমি প্রতিশোধ নেই।আর আমি ছোট বেলা থেকেই অলরাউন্ডার ছিলাম,ছিলাম প্লেবয়, একটা অচেনা অজানা মেয়েকেও পটাতে আমার ২দিনের বেশি লাগতো না।আর তোমার সম্পর্ক এ এত কিছু জানার পর প্লান করে তোমাকে প্রেমে ফেলি।তুমি আমার প্রেমে পড় নাই, তোমাকে প্রেমে ফেলাইছি আমি, তোমার সাথে ঘুরা, গিফট,তোমাকে নিয়ে লং ড্রাইভ এ যাওয়া সব প্লান ছিল, তোমার সেদিন রিয়ার সাথে ঝগড়া, তোমার মন খারাপ আর ঘুরতে যাওয়া কিস করা, সব প্লান ছিল।
...
...
আর হ্যা সেদিন যা যা হয়েছে, সেগুলোর ফটো & ভিডিও ও হয়েছে। না না ভয় পেয়ো না
ওগুলো আমি নেটে দিব না। তোমার ভাই সোনালী ব্যাংক এর ম্যানেজার, তোমার আব্বু অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর, তোমার ছোট ভাই ক্লাস এইটে পড়ে।তারা সবাই মুভি দেখার জন্য DVD অপেন করলে যদি এই ভিডিও প্লে হয় তখন কেমন লাগবে সবার??
আচ্ছা তোমার কেমন লাগবে?? কি করে মুখ দেখাবে ওদেরকে?? তোমাকে পৃথিবীর কাছে নয় তোমার আত্ত্বার কাছে দোষী করতে চাই।তোমায় ফেমিলির কাছে তখন কিভাবে মুখ দেখাবে সেটা ভাবো।আব্বু বলে " কাঊকে শাস্তি দিতে চাইলে শারিরীক নয় মানুসিক শাস্তি দিতে হয়"
...
..
তুমি প্রতি শুক্রবার আজিমপুর কবরস্থান এ যাবে & আমার ভাইয়ের কবর যিয়ারত করবে। ওর আত্তার মাগফেরাত কামনা করে ৫ওয়াক্ত নামাজ পড়বে, রোজা রাখবে,জাকাত দিবে, ওর জন্য ফকির মিসকিন কে দান করবে, খাওয়াবে & সর্বোপরি নিজে ভাল হয়ে যাবে।
...
...
তুমি যদি টানা ৫বছর এই কাজটা করতে পারো তাহলে তুমি মুক্ত। খুব ভাল একটা ছেলে দেখে তোমার পরিবারের পছন্দে বিয়ে করে সুখি সংসার করিও।আমার ভাইয়ের আত্তা শান্তি পাবে।আর হ্যা আমি এই কলেজের ছাত্র কখনোই ছিলাম না।আমাকে আজকের পর খুজলে আর পাবেও না।
আমি চলে যাচ্ছি আমার নিরুপমার কাছে, যে আমার পথচেয়ে আছে।
কাল শুক্রবার
কাল থেকে তোমার শাস্তি শুরু....
এটাই হবে আমার ভাইয়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ......
লেখকঃনিলয় আহসান নিশো(বৃষ্টিহীন বর্ষাকাল)
(বি:দ্র: সম্পাদক দায়ী নয়)
৩০ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস
�