১৯৮৩ সালের অক্টোবর ৫,এই তারিখটি বাঙালি জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। নড়াইলে গোলাম মর্তুজার সংসারে জন্ম নিয়েছিল ছোট্ট শিশু কৌশিক।
ছোট বেলা থেকেই অত্যন্ত সাহসী ও দৃঢ় মনোবলের অধিকারী তিনি। শুধুমাত্র মনোবলের কারণেই এতটা পথ আসতে পেরেছেন তিনি। অন্যথায় ব্রেট লি,শেন বন্ডদের পথ অনুসরণ করে কবেই অবসরে চলে যেতেন।
কিন্তু না,তিনি যে স্বাভাবিক চরিত্রের বাইরে আরও একটি চরিত্র। সেদিনের ছোট্ট কৌশিক একসময় হয়ে যায় মাশরাফি বিন মর্তুজা। যে নামে মিশে আছে আবেগ,ভালবাসা,শ্রদ্ধা। এ নামের প্রতিকী অর্থ বাংলাদেশ।
২০০১ সাল থেকেই তিনি ক্রিকেট মাঠে দৌড় শুরু করেন,এখনও দৌড়াচ্ছেন। উনার দৌড় থামিয়ে দিতে চেয়েছিল সাত সাতটি ইনজুরি। ডাক্তার ডেবিড ইয়ং নিজেই যখন সন্দিহান ছিলেন যে,ম্যাশ আর কখনো ক্রিকেট খেলতে পারবে কিনা অথচ সেই ম্যাশ এখনও দিব্যি ছুটে চলেছেন শত আঘাতের শত কষ্ট চেপে।
সময়টা ২০০৬,জিম্বাবুয়ের সাথে তাদেরই মাটিতে খেলা। সম্ভবত সে ম্যাচে হ্যাট্রিক করেছিলেন শাহাদাত হোসেন রাজিব। সে ম্যাচেরই শেষ বলে জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল একটা বাউন্ডারি। ম্যাশ ছুটে আসছেন,আমরা হাত তুলে প্রার্থনা করছি। যখনই বল ছুড়বেন তখনই বিদ্যুৎ চলে গেল। শেষ বলে কি হয়েছিল তখন দেখা হয়নি। অপেক্ষায় ছিলাম কখন কারেন্ট আসবে। অবশেষে কারেন্ট আসে এবং মাশরাফির মলিন মুখের ছবিও টেলিভিশনে ভেসে উঠে। খেলার ফলাফল তখনই বুঝতে পেরেছিলাম। ব্রেন্ডন টেইলর শেষ বলে ৬ মেরে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে।
মাশরাফিকে কাদতে দেখেছিলাম আরও একদিন। যখন ২০১১ বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করা হল এবং সে তালিকায় মাশরাফির নাম নেই তখন। কি অঝোর কান্না,যার সাথে কেদেছিল লাখো ভক্তকূল।
তখন মাশরাফি বলেছিলেন– ‘বিশ্বকাপ হয়ত আরও অনেক খেলতে পারব কিন্তু নিজের মাঠে নিজ সমর্থকদের সামনে খেলতে না পারার আফসোস সারাজীবনেও পূরণ হবে না’
সেই মাশরাফি আজ আমাদের অধিনায়ক,যিনি বদলে দিয়েছেন পুরো দলের চেহারা। আমরা এখন বিপক্ষ দলের প্লেয়ারদের চোখে চোখ রেখে লড়াই করি যেটা একসময় ভাবাই যেত না। তবুও একটা অপূর্ণতা রয়েই যাবে আমাদের। মাশরাফি ভাইকে এখনও কোন ট্রফি এনে দিতে পারিনি আমরা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ১২০-২৫ কিমি গতির বল,অথবা ২৫০ উইকেটের কোন মূল্য হয়ত তেমন নেই। কিন্তু আমাদের কাছে লড়াকু মাশরাফির প্রতিটি উইকেটই অমূল্য এবং প্রতিটি দৌড় দেখা চোখের জন্য প্রশান্তি।
নড়াইলে সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়ার সময় পরিচয় ও ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হন সুমির সাথে। সেই সুমনা হক সুমিই এখন উনার স্ত্রী,চলার পথের সহযাত্রী। ৫ অক্টোবর মাশরাফির ছেলে সাহেল মর্তুজারও জন্মদিন।
প্রিয় ম্যাশ,জন্মদিনের শুভেচ্ছা নিবেন। আপনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন বাঙালি জাতির ইতিহাসে। আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও অকৃত্রিম ভালবাসা রইল।
একজন মাশরাফি এবং আমাদের স্বপ্নসারথি
১৯৮৩ সালের অক্টোবর ৫,এই তারিখটি বাঙালি জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। নড়াইলে গোলাম মর্তুজার সংসারে জন্ম নিয়েছিল ছোট্ট শিশু কৌশিক।
ছোট বেলা থেকেই অত্যন্ত সাহসী ও দৃঢ় মনোবলের অধিকারী তিনি। শুধুমাত্র মনোবলের কারণেই এতটা পথ আসতে পেরেছেন তিনি। অন্যথায় ব্রেট লি,শেন বন্ডদের পথ অনুসরণ করে কবেই অবসরে চলে যেতেন।
কিন্তু না,তিনি যে স্বাভাবিক চরিত্রের বাইরে আরও একটি চরিত্র। সেদিনের ছোট্ট কৌশিক একসময় হয়ে যায় মাশরাফি বিন মর্তুজা। যে নামে মিশে আছে আবেগ,ভালবাসা,শ্রদ্ধা। এ নামের প্রতিকী অর্থ বাংলাদেশ।
২০০১ সাল থেকেই তিনি ক্রিকেট মাঠে দৌড় শুরু করেন,এখনও দৌড়াচ্ছেন। উনার দৌড় থামিয়ে দিতে চেয়েছিল সাত সাতটি ইনজুরি। ডাক্তার ডেবিড ইয়ং নিজেই যখন সন্দিহান ছিলেন যে,ম্যাশ আর কখনো ক্রিকেট খেলতে পারবে কিনা অথচ সেই ম্যাশ এখনও দিব্যি ছুটে চলেছেন শত আঘাতের শত কষ্ট চেপে।
সময়টা ২০০৬,জিম্বাবুয়ের সাথে তাদেরই মাটিতে খেলা। সম্ভবত সে ম্যাচে হ্যাট্রিক করেছিলেন শাহাদাত হোসেন রাজিব। সে ম্যাচেরই শেষ বলে জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল একটা বাউন্ডারি। ম্যাশ ছুটে আসছেন,আমরা হাত তুলে প্রার্থনা করছি। যখনই বল ছুড়বেন তখনই বিদ্যুৎ চলে গেল। শেষ বলে কি হয়েছিল তখন দেখা হয়নি। অপেক্ষায় ছিলাম কখন কারেন্ট আসবে। অবশেষে কারেন্ট আসে এবং মাশরাফির মলিন মুখের ছবিও টেলিভিশনে ভেসে উঠে। খেলার ফলাফল তখনই বুঝতে পেরেছিলাম। ব্রেন্ডন টেইলর শেষ বলে ৬ মেরে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে।
মাশরাফিকে কাদতে দেখেছিলাম আরও একদিন। যখন ২০১১ বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করা হল এবং সে তালিকায় মাশরাফির নাম নেই তখন। কি অঝোর কান্না,যার সাথে কেদেছিল লাখো ভক্তকূল।
তখন মাশরাফি বলেছিলেন– ‘বিশ্বকাপ হয়ত আরও অনেক খেলতে পারব কিন্তু নিজের মাঠে নিজ সমর্থকদের সামনে খেলতে না পারার আফসোস সারাজীবনেও পূরণ হবে না’
সেই মাশরাফি আজ আমাদের অধিনায়ক,যিনি বদলে দিয়েছেন পুরো দলের চেহারা। আমরা এখন বিপক্ষ দলের প্লেয়ারদের চোখে চোখ রেখে লড়াই করি যেটা একসময় ভাবাই যেত না। তবুও একটা অপূর্ণতা রয়েই যাবে আমাদের। মাশরাফি ভাইকে এখনও কোন ট্রফি এনে দিতে পারিনি আমরা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ১২০-২৫ কিমি গতির বল,অথবা ২৫০ উইকেটের কোন মূল্য হয়ত তেমন নেই। কিন্তু আমাদের কাছে লড়াকু মাশরাফির প্রতিটি উইকেটই অমূল্য এবং প্রতিটি দৌড় দেখা চোখের জন্য প্রশান্তি।
নড়াইলে সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়ার সময় পরিচয় ও ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হন সুমির সাথে। সেই সুমনা হক সুমিই এখন উনার স্ত্রী,চলার পথের সহযাত্রী। ৫ অক্টোবর মাশরাফির ছেলে সাহেল মর্তুজারও জন্মদিন।
প্রিয় ম্যাশ,জন্মদিনের শুভেচ্ছা নিবেন। আপনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন বাঙালি জাতির ইতিহাসে। আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও অকৃত্রিম ভালবাসা রইল।
লেখা: মোশারফ হোসেন (ক্রিকেটখোর)