এক লোক ঘরে ঢুকে দেখে তার স্ত্রী কান্নাকাটি করছে। লোকটি স্ত্রীর কান্নার কারন জানতে চাইলে স্ত্রী বলল,”বাসার পাশে থাকা গাছের উপর বসে চড়ুই পাখিগুলো আমাকে হিজাব ছাড়া দেখে ফেলেছে। আল্লাহর অবাধ্য হলাম কিনা এই ভয়ে কান্না করছি।”
স্বামী খুশিতে স্ত্রীর দুচোখে চুমু খায় এবং তার পরহেজগারিতা ও আল্লাহ ভীতি দেখে বাজার থেকে কুঠার এনে গাছটি কেটে ফেলে যাতে পাখিরা গাছে বসে তার স্ত্রীকে বেআব্রু অবস্থায় আর না দেখতে পারে।
সেই লোকটি এক সপ্তাহ পর কাজ থেকে একটু তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে এসে বেডরুমে দেখে তার স্ত্রী পর পুরুষের হাতের উপর হাত রেখে ঘুমিয়ে আছে। লোকটি তখন তার স্ত্রীকে কিছু না বলে রাগে দুঃখে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে নিজ শহর ছেড়ে অন্য এক শহরে চলে যায়।
লোকটি দূরের এক শহরে পৌঁছে দেখে মানুষজন রাজার প্রাসাদের কাছে জড়ো হয়ে আছে। কারন জানতে চাইলে মানুষজন উত্তর দেয়,”রাজার ভান্ডার চুরি হয়েছে।”
এমন সময় পাশে এক লোক দেখে পায়ের আঙ্গুলের উপর ভর দিয়ে হেটে চলছে। লোকটি কে? জিজ্ঞেস করায়, লোকজন বলল,”উনি এই শহরের শাইখ।কোন পিঁপড়া উনার পায়ে পিষ্ট হয়ে মৃত্যুবরন করলে আল্লাহর অবাধ্য হন কিনা সেই ভয়ে তিনি এভাবে হাটেন।”
ওয়াল্লাহি! আমি চোরকে পেয়েছি। তোমরা আমাকে তাড়াতাড়ি রাজার কাছে নিয়ে চল। লোকটি রাজার কাছে গিয়ে বললো,”আপনার রাজ ভান্ডার চুরি করেছে শহরের ঐ শাইখ।
যদি না হয় তবে আমার কল্লা কেটে ফেলবেন।” রাজার প্রহরীরা শাইখকে ধরে আনে। জিজ্ঞাসাবাদের পর ঐ শাইখ চুরির কথা স্বীকার করে। রাজা লোকটিকে জিজ্ঞেস করে, তুমি কিভাবে বুঝলে সে চোর?
লোকটি তার স্ত্রীর কাহিনী বলে এবং আরও বলে, যখন দেখবেন কেউ হঠাৎ নিজ থেকে সাধু সাজে এবং ধর্মের কথায় মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করে তখন বুঝে নিবেন সে বড় কোন অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করছে এবং কঠিন অপরাধের সাথে জড়িত। অর্থাৎ অতি ভক্তি চোরের লক্ষন।