এক অপুর্ব সুন্দরী নারী এক কৃষককে বললো আমি তোমাকে বিবাহ করবো। কৃষক তো নারীর চেহারা দেখে পাগল। কৃষক দেরি না করে নারীকে পুরোহিতের কাছে নিয়ে গিয়ে বললো তাড়াতাড়ি আমাদের বিবাহ দাও।
পুরোহিত নারীর চেহারা দেখে সে নিজেও পাগল। পুরোহিত বললো আরে বেটা কৃষক, তুই তো এই নারীর উপযুক্তই না, আমি বিবাহ করবো এই সুন্দরী মেয়েটিকে। কৃষক আর পুরোহিতের মধ্য ঝগড়া লেগে গেলো। এক পর্যায়ে কৃষক আর পুরোহিত বিচার নিয়ে গেলো বাদশাহের দরবারে।
বাদশাহ নারীর চেহারা দেখে সে নিজেও পাগল। বাদশাহ বললেন, তোরাতো দুই জনই এই নারীর অযোগ্য বিবাহ আমি করবো। তখন নারী কে বলা হল তুমি সিদ্ধান্ত নাও কাকে বিবাহ করবে?
নারী বললো, যে আমাকে দৌড়ে ধরতে পারবে আমি তাকে বিবাহ করবো। নারী দৌড় দিলো পিছে পিছে কৃষক, পুরোহিত ও বাদশাহ দৌড় দিলো। দৌড়াতে দৌড়াতে এক সময় ছটফট করতে করতে কৃষক মারা গেল। তার কিছুদূর পর একই অবস্থায় পুরোহিতও মারা গেলো। বাদশাহ নারীকে বললেন এখন তো আমি একা, চলো বিবাহ করবো।
তবুও নারী বলে, না? আমাকে দৌড়ে ধরতে হবে। আর দৌড়ানোর ক্ষমতা না থাকায় তখন বাদশাহ বললেন, হেনারী দাঁড়াও, বলো, আসলে তুমি কে? নারী বললো আমি হলাম এই পৃথিবীর ধনদৌলত। আমার মধ্যে আছে শুধুচাকচিক্য, মোহ আর লোভ-লালসা। আমার পেছনে যে দৌড়াবে, সে শুধু এভাবেই মরবে বিনিময়ে কিছুই পাবে না।
সারমর্ম: পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষের উচিত তার প্রয়োজন অনুযায়ী ধনদৌলতের আশা করা উচিত। কখনই শুধু টাকা চাই শুধু টাকা চাই এইভাবে অর্থের পেছনে সর্বদা দৌড়ানো একেবারেই অযৌক্তিক। আমাদের মনে রাখা উচিত প্রত্যেকের পেটে যেমন নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার ধরে ঠিক তেমনি ধনদৌলতও জমা করার নির্দিষ্ট সীমা আছে। লোভ লালসারও একটা সীমা থাকে যা অতিক্রম করলে অতিরিক্ত বায়ুভর্তি বেলুনের মতো ফেঁটে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।