গেইলের ছক্কায় পয়সা উশুল
আল-আমিন শিবলী : গত ২২ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত বাংলার ষোলো কোটি ক্রিকেট ভক্তরা চলমান বিপিএলের যতগুলো ম্যাচেই দেখেছেন তাতে শুধু গার্টের পয়সা উড়িয়েছে। আনন্দ উল্লাস নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে পারেনি। কেন না টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানি চার- ছক্কার মারামারি। সেখানে দর্শক শুধু পেয়েছেন উইকেটের ছড়াছড়ি। এ নিয়ে ভক্তকূল অনেকটাই হতাশ হয়ে পড়েছিল। কারণ প্রতি ম্যাচেই বড় বড় চার-ছক্কার প্রত্যাশা নিয়ে ক্রিকেট মাঠে গিয়ে হারিয়েছে পকেটের মোটা অংকের টাকা। অবশেষে দর্শকদের গার্টের পয়সা উশুল হলো বিপিএলের ২৮তম ম্যাচে গেইলের ছক্কার ইনিংস দেখে।
বুধবার চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে হঠাৎ করে মিরপুর স্টেডিয়ামে বেজে উঠলেন চলমান বিপিএলের সর্বোচ্চ দামি তারকা খেলোয়াড় বরিশাল বুলসের একমাত্র ভরসা ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব ক্রিজ গেইলের ব্যাটি। তার চার-ছক্কার মারামারিতে আস্তে আস্তে ভারি যাচ্ছেছিলো মিরপুরের আকাশ। শুরুতেই বরিশাল দুইটি উইকেট হারালেও সে ধাক্কা সামলিয়ে দিয়েছে ক্রিস গেইল। ব্যাট হাতে একে পর একে বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন তিনি। এদিন চিটাগাংয়ের শফিউল ইসলাম ছাড়া সব বোলারের বিপক্ষে অন্তত একটি করে ছক্কা হাঁকিয়েছেন ক্রিকেটবিশ্বের এ জ্যামাইকান বাবু। তবে সর্বোচ্চ নাক চুবানি খেয়েছেন পেসার জীবন মেন্ডিস। তার এক ওভারে চারটি ছক্কাসহ ২৬ রান নিয়ে ৩০ বল বাকি থাকতেই বরিশালকে দারুণ জয় এনে দেন এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। সময় যত গড়িয়েছে তত রুদ্রমূর্তি দেখা গেছে গেইলের। ৩৫ বলে অর্ধশতকে পৌঁছা যান ১২ বলে। মাত্র ৪৭ বলে ৬ চার এবং ৯ ছক্কায় ৯২ রানের হার না মানা এক বিধ্বংসী ইনিংস উপহার ভক্তদের। বিপিএলে ইতিহাসে গেইলের রেকর্ড দারুণ, এই টুর্নামেন্টের তিন আসর মিলে গেইল সর্বমোট ৯ ইনিংসে ছক্কা মেরেছেন ৪৮টি। এবারের আসরে ঢাকায় পা রেখে ক্রিস গেইল বলেছিলেন, দর্শকের পয়সা উশুল করে দেবেন তিনি। আরো বলেছিলেন, ছক্কা মারতেই এসেছেন। প্রথম দুই ম্যাচে কথা রাখতে পারেননি। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে জ্বলে উঠেছিলেন তিনি। যদি প্রতিপক্ষে রান স্কোর আরো বেশি বেধে দিতে পারতো তাহলে হয়তো আরো কিছু দেখা যেত গেইল কারিশমা।
৯ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস