যৌতুকের আগ্রাসন
পাঠকই লেখক ডেস্ক: বর্তমানে এই দুর্যোগপূর্ণ মুহুর্তে নারী সমাজ আজ ধ্বংসের ভয়াল আগ্রাসনে নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছে কষ্টের সীমাহীন ব্যথার সাগরে। যা থেকে উত্তোলন বড়ই ভয়ানক। আজ আমি নিরবে কাঁদি, যখন পাহাড় বিলায় দাঁড়িয়ে থাকি আমি চিৎকার করে বলি আমি আর আসিব না ফিরে এই পৃথিবীর বুকে। যেখানে নেই আত্মসম্মানবোধ, নেই নীতি জ্ঞান, নেই সভ্যতার সুশীল ছায়াতল। মনের গহীন সাগরে বিশাল ব্যথার জলে একাকার করে রেখেছি। আমি চাই না এই সমাজকে।
আমি চাই না এই সমাজ যে সমাজে যৌতুকের বলি হয়ে যায় হৃদয় বীনা কবলিত নারী। নারী যে মায়ের জাত। কেন আজ হবে জ্বলন্ত অগ্নিবীনায় তাঁদের এই সোনার দেহ। আজকে আমার বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে ভয় হয়। আজকে আমি চোখ খোললেই দেখি পত্রিকার পাতায় যৌতুকের আগ্রাসনে ঝলসে গেল সোনার দেহ। আবার একই কালি এবং কাগজে এরই প্রতিবাদ। কি হবে এই লেখালেখিতে যৌতুকের বলি কি বন্ধ হবে? না, মানবাত্মার অমর আলোকে কালো অক্ষরের শৃঙ্খলে কাগজের কারাগারে বাঁধা পড়িয়া থাকবে।
আজকে যদি ইহার সহসা বিদ্রোহী হইয়া উঠে, নিস্তবদ্ধতা ভাঙ্গিয়া ফেলে অক্ষরের বেড়া দগ্ধ করিয়া একেবারে বাহির হইয়া আসে, তাহলেই হিমালয়ের পর্বতের মতো গগণ মার্গের দিকে শির উত্তোলন করা সম্ভব। এ পৃথিবীতে শরৎচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রাণের কবি কাজী নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন সাহিত্যিক যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে আমরণ সংগ্রাম করে গেছেন এই বিষবৃক্ষকে সমূলে উৎপাটন করার জন্য। এই যৌতুক যে এক লজ্জাজনক মানব সভ্যতার এক অন্ধকার অধ্যায়। আজকে কেন হবে, নারী পন্যের সামগ্রী “বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যানকর অর্ধেক তার গড়িয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর”।
এই ছন্দের মিলনে একটি নারী নিগৃহীত ব্যথার সাগরে সম্পৃক্ত থেকে ও অন্যায়ের দাবানল থেকে এদেশের নারী সমাজকে যৌতুকের কারাগার থেকে মুক্ত বিহঙ্গের মতো করে দিতে প্রেরণা চায়। কিন্তু কেন যেন কি শক্তি তাকে রুদ্ধ করছে। তার মতো এমন হাজারো নারী সংগ্রামী জীবনকে বুকে ধারণ করতে চায়।
আসুন এদেশের শিক্ষিত বুদ্ধিজীবি, যুবক যুবতী আমরা আমাদের বিবেককে একটু জাগ্রত করি। যৌতুককে এই সমাজ থেকে চিরতরে বিদায় করে দেই।
আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি। ভালোবাসি এদেশের অবহেলিত নারীকে। আজকে আমরা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন করেও ভালোবাসার প্রকৃত মর্যাদা দিতে পারলাম না এদেশের নারী সমাজকে।
লেখক :
মোঃ সেলিম মিয়া
গ্রাম- ভিটিপাড়া, ডাকঘর- সিংহশ্রী,
উপজেলা- কাপাসিয়া, জেলা- গাজীপুর।
মোবাইল : ০১৯৩০০-৪৯৮৪৫, ০১৭৬৬৬-৩২৮১৫
ই-মেইল :
[email protected]
১১ ডিসেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস