বিচিত্র জগৎ ডেস্ক: পোষা কুকুর রিমোট দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। সম্প্রতি এমন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা গবেষকরা এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ আর কুকুরের মধ্যে যোগাযোগে হ্যাপটিক্সের ব্যবহারের নতুন পথ উন্মোচিত হলো। হ্যাপটিক্স বলতে স্পর্শের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ ও কম্পিউটারের সঙ্গে যোগাযোগের প্রযুক্তিকে বোঝানো হয়। বিবিসি
এই প্রযুক্তিতে কুকুরের শরীরে লাগানো ‘ভাইব্রেশন ভেস্ট’ এ রিমোটের মাধ্যমে কমান্ড দেয়া হয়। কমান্ড পেয়ে সেই মোতাবেক কাজ করে ওই কুকুর। বর্তমানে টাই নামের একটি কুকুরের ওপর এই প্রযুক্তি পরীক্ষা করছে গবেষকরা। প্রাথমিকভাবে এই কুকুরটিকে বড় করা হয়েছে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করার জন্য। কিন্তু কুকুরটি সহজেই বিভ্রান্ত হওয়ায় এবং গন্ধ শুঁকতে বেশি পছন্দ করায় এই পরীক্ষা ব্যর্থ হয়। পরে কুকুরটিকে নিয়ে ভাইব্রেশন ভেস্ট-এর পরীক্ষা শুরু করেন গবেষকরা। এরপর মুখে উচ্চারিত নির্দেশের চেয়ে ভাইব্রেশন ভেস্ট-এর কমান্ডে বেশি সাড়া দেয় কুকুরটি।
ইসরায়েলের বেনগুরিয়ন ইউনিভার্সিটিতে উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কুকুরের শরীরের ভেস্টে ৪টি ভাইব্রেশন মোটর ব্যবহার করা হয়েছে, যা শরীরের পেছনের অংশে ও পাশের দিকে বসানো হয়। রিমোট কনট্রোলার দিয়ে বিভিন্ন ভাইব্রেশন বা কম্পন পাঠানোর পর তাতে সাড়া দিতেই প্রশিক্ষণ দেয়া হয় কুকুরটিকে। এজন্য ‘টাই’ নামের ৬বছর বয়সী ল্যাবরাডোর জার্মান শেফার্ড সংকর জাতের কুকুর নেয়া হয়েছে। এই কুকুরটি ‘স্পিন’, ‘ডাউন’, ‘টু মি’ এবং ‘ব্যাকপেডাল’সহ কয়েকটি কমান্ডে সাড়া দেয়া শিখেছে।
যন্ত্রপ্রকৌশল রোবোটিকস গবেষণাগারেরর পরিচালক অধ্যাপক আমির শাপিরো বলেন, গবেষণার ফলাফল থেকে দেখা যায় কুকুরগুলো ‘ভাইব্রো-ট্যাকটাইল কু’-তে কণ্ঠস্বরের চেয়ে বেশি সাড়া দিচ্ছে। কুকুর যখন দৃষ্টি সীমার বাইরে থাকবে তখন এই প্রযুক্তি কাজে লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে। দূর থেকেই কুকুরটিকে কমান্ড দিতে পারবেন তার মালিক। সেনাবাহিনীর এবং অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজে ব্যবহারের কুকুরে এই প্রযুক্তি কাজে লাগানো যেতে পারে। শারিরীক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঙ্গে সহায়ক কুকুরের যোগাযোগের নতুন মাধ্যমও যোগ হতে পারে এটি।