ফোন দিলাম বউয়ের কাছে, ধরলেন শ্বশুর, অতঃপর
পাঠকই লেখক ডেস্ক: বউয়ের একটা খুব ভালো অভ্যাস আছে। সে কারো বাসায় গেলে মোবাইল ফেলে আসে। দুঃখের বিষয়, বেশির ভাগ সময়ই সেটি ফেরত পাওয়া সম্ভব হয়। তার এই মোবাইল রেখে আসার কারণে চিপায় পড়ি আমি। আমি আবার কাজের মানুষ। কল দিয়ে হাই-হ্যালো নাই, সোজা কাজের কথায় চলে আসি।
একবার বউ তার এক বান্ধবীর বাসায় বেড়াতে গেছে। বান্ধবী আবার তিন সপ্তাহের প্রেগন্যান্ট। যথারীতি বউ মোবাইল রেখে এসেছে। আমি ফোন দিতেই ফোনটা ধরল তার বান্ধবী। ফোন তুলতেই বললাম, ‘ডাক্তার ফোন দিছিল। রিপোর্ট দেইখা বলছে পেটে কিচ্ছু নাই। হুদাই।’ (আলসার রয়েছে কি না জানার জন্য আমার বউয়ের দুদিন আগে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্ট করা হয়েছিল। সেটির রিপোর্ট।)
ফোনের ওপাশে কী হয়েছিল আজও অনুমান করা সম্ভব হয়নি।
আরেকবার সে মোবাইল ফেলে আসল জিমে। জিম ইনসট্রাক্টর মেয়েটি খুব সজ্জন ও সুন্দরী। দুয়েক দিন কথাও হয়েছে। আমি কল দিতেই ফোন তুলল মেয়েটি। বললাম, ‘চলো, কয়েক দিন ঢাকার বাইরে কোথাও বেড়িয়ে আসি। বাসায় বলার দরকার নাই। জানাজানি করলে সবাই যেতে চাইবে। শুধু তুমি আর আমি।’
সে রাতে বাসায় ফিরে দেখলাম, আমার জামা-কাপড়, জুতো ব্যাগে ভরা আছে। জিম ইনসট্রাক্টরের সঙ্গে কই যাব, বউ যেতে বলেছে।
এসব ছোটখাটো বিষয়, না ধরলেও চলে। তবে গত রমজানে সে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে মোবাইল ফেলে বাইরে বেড়িয়েছে। শ্বশুর মশাই সবে বাসায় ফিরেছেন। এই সময় বউয়ের মোবাইলে আমি ফোন দিলাম। ফোন তুললেন তিনি। বললাম, ‘তোমার বাপের জন্য কেনাকাটা করার দরকার নাই। বউ নাই, হেয় নতুন কাপড় কার জন্য পড়ব? তিনারে একটা বিয়া করায়া দিই, খুশি হইব, গ্যারান্টি, বুঝছ?’
বাসায় ফিরলে আমার বউকে শ্বশুর মশাই নাকি রাগী গলায় বলেছিলেন, ‘আমার জন্য এসব পাঞ্জাবিটাঞ্জাবি কেনার কী দরকার ছিল!’
কাল্পনিক এই গল্পটির লেখক: তানভীর আহমেদ হ্যামলেট
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪ডটকম/জুবায়ের রাসেল
�