শনিবার, ০৯ জানুয়ারী, ২০১৬, ০৬:১৫:১৪

‘আমার প্রথম ভালবাসা’

‘আমার প্রথম ভালবাসা’

প্রদিপ বিশ্বাস : জরুরি কাজে হঠাৎ বাড়িতে যাচ্ছে প্রদিপ। বাসে বসে ফ্রেন্ডের দেয়া ফেইসবুকের স্ট্যাটাসগুলো পড়ছি । এমন সময় ইনবক্স এ একটা অপরিচিত মেয়ে ম্যাসেজ দিলো,হাই কেমন আছো? নরমালি
প্রদিপ দরকার ছাড়া কারো সাথে চ্যাট করেনা। সেখানে অপরিচিত মেয়ের সাথে মোটেওনা! তবুও আজকে বাসে অলস সময়গুলো কাটাটেই ও রিপ্লে দেয় মেয়েটাকে,হুম ভালো! তুমি কেমন আছো অবন্তিকা? প্রদিপ মেয়েটার আইডিতে দেয়া নামটা ধরেই বলল! আর এমন ভাবে বলে,যেন কতো
কালের চেনা মেয়েটা ওর! অবন্তিকা বলল_ হুম আমিও ভালো। কি করতেছো? যেন মেয়েটাও খুব সহজেই আপন করে নিলো প্রদিপকে! প্রদিপের ভালই লাগলো,ও রিপ্লে দিলো, হুম,কিছুনা,বাসে বসে আছি,জরুরি কাজে বাড়ি যাচ্ছি। খুব জরুরি? হুম! তাহলে এক কাজ করো,যদি গাড়ি স্লো চলে
তাহলে ড্রাইবারকে নামিয়ে তুমিই ই গাড়ি চালাও! হ্যাঁ তা পারি,কিন্তু তাতে গাড়ি আর রাস্তায় থাকবেনা! রাস্তার পাশের কোনো খাদ চয়েজ করে তাতে পড়ে যাওয়া সমূহ সম্ভাবনা আছে! নাহ্ পড়বেনা,আমি কন্ট্রোল করে নিবো গাড়ি! আমার ভাগ্য যে এতো ভালো জানতামনা! কেন? এইযে আমি গাড়ি একচিডেন্ট করতে গেলে কেউ তা কোন্ট্রল করার মতো আছে? তাহলে ভাবো একটু?
একটুনা পুরোটাই ভাবতে হবে! বেশি ভেবোনা,কারন উদ্দেশ্যহীন ভাবনায় প্রবলেম অনেক! কিন্তু কল্পনার জগতে উদ্দেশ্যহীন বলে কিছু নেই,সেখানে সব ই বাস্তব! কারন ঐ জগৎটা একান্তই নিজের!
এতো কাব্যিক ভাষা আমি বুঝিনা! কিন্তু আমার ভালো লাগে! কারন এ ভাষাগুলো ছোট হলেও অনেক অর্থবহ! জীবনের অনেক নিগূড় রহস্য লুকিয়ে থাকে কথাগুলোতে! আসলে আমি অতোটা ইন্টেলিজেন্ট নয়,তাই বুঝিনা! কিছু কিছু কথা বুঝতে ইন্টেলিজেন্ট হতে হয়না,প্রয়োজন হয় শুধু গভীর অনুভূতির! কিন্তু আমি ততোটা ইমোশনাল নয়! হুমমমম,ইমোশন খুব খারাপ তবে কিছু
ক্ষেত্রে ইমোশন না থাকলে জীবন উপভোগ করা যায়না কিংবা অন্যকে বুঝা যায়না! আচ্ছা তুমি এমন কেন? কেমন? এতো ছন্নছাড়া কেন? হয়তো একসময় ছিলামনা,কিন্তু এখন হয়ে গেছি!
কাউকে ভালোবাসো? ভালোবাসা কি আমি বুঝতামনা,ও শিখিয়েছিলো! মানে? ও ছিলো বয়সে আমার একবছরের বড়! ও সততা,সরলতা,পাগলামী গুলোই আমাকে ভালোবাসতে শিখিয়ে ছিলো!
শিখিয়েছিলো কিভাবে কাউকে আপন করতে হয়? তো রিলেশন কেমন চলতেছে? এখন কথা হয়না,কারন ওর বিয়ে হয়ে গেছে! তাহলে মনে পড়ে ওকে? হুম পড়ে,যখন মাঝরাতে ঘুম ভাঙ্গে! তখন কেন? কারন ও এই সময়টা খুব পছন্দ করতো! তো এখন কি করবে ভাবছো? এগিয়ে যাবো,জীবনের পথে এগিয় যাবো! নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবো! ঠিক যেমন ও আমাকে দেখতে চেয়েছিলো! সেটাই ভালো! এগিয়ে যাও! ও তোমার সাথেই আছে! কিন্তু তুমি কিভাবে বুঝলে? কারন আমি ই সেই মেয়ে! যাকে তুমি এতো ভালোবাসো! পরিবেশ আমাদের পক্ষে ছিলোনা,তাই দুজন ই নিয়তিকে মেনে নিয়েছিলাম। আমার আগের আইডিটা স্টপ করে এই নতুন আইডিটা খুলি তোমার কাছে নতুন কেউ হয়ে আসবো বলে! কারন তোমাকেও যে এখোনো আমি খুব ভালোবাসি খুব! কথাগুলো শেষ হতেই প্রদিপ দেখতে পায় অবন্তিকা আইডিটা থেকে ওকে ব্লক দেয়া হয়েছে! এমন সময় বাসের কনট্রাক্টর আগৈলঝাড়া স্টেশন বলে চিৎকার করে ওঠে! হুম! এখানেই নামবে প্রদিপ,বাড়ির বাকি পথটুকু ওকে হেঁটেই যেতে হবে। রাস্তা দিয়ে বাড়ির পথে হাঁটতে থাকে প্রদিপ। জয়া ওকে ব্লক দিয়েছে বলে একটুও কষ্ট পায়না ও! কারন প্রদিপ জানে,জয়া আবার অন্য কোনো
অবন্তিকা হয়ে ঠিক প্রদিপের আইডিতে ফিরে আসবে! প্রদিপের আইডিতে থাকার জন্য হাজারটা
নতুন আইডি থেকে হাজার বার অবন্তিকা হতেও দ্বিধা করবেনা জয়া!!!
৯ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রদিপ/পিবি

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে