বিচিত্র জগৎ ডেস্ক : ঘরের অন্দরেই বাস সাপের। বিষধর যে প্রাণীকে গোটা বিশ্ব ভয় পায় সেই সরীসৃপকে ভালবেসে, শ্রদ্ধা সহকারে পরিবারেরই এক সদস্য হিসেবে বাড়ির ভিতরে ঠাঁই দিয়েছে মহারাষ্ট্রের শেতপাল গ্রামের বাসিন্দারা। আর সেই কারণেই একে বলা হয় ‘সাপের গ্রাম’।
পুণে থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শেতপাল গ্রাম। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে সাপেদের জন্য আলাদা থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। কবে থেকে এবং কেনইবা এই ব্যবস্থা ? সেই সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা সম্ভব হয়নি।
তবে এখানেই মানুষের সঙ্গেই থাকে কোবরা, গোখরোর মতো বিষাক্ত সাপ। শিশুদেরও তাতে কোনও সমস্যা হয় না। সাপেরাই তাদের খেলার সঙ্গী।
শোনা গিয়েছে, প্রায় শ’খানেক সাপুড়ে পরিবার থাকে শেতপাল গ্রামে। প্রত্যেকের বাড়িতেই সাপেদের থাকার জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে। একে বলা হয় ‘দেবস্থানম’।
এমনকী কেউ নতুন বাড়ি তৈরি করলে এই ‘দেবস্থানম’ আগে তৈরি করে তারপর বাড়ির বাকি স্থানের নির্মাণ কাজ করে থাকেন। যাতে সেখানে নিশ্চিন্তে নাগরাজ থাকতে পারে।
অনেকে বলেন, শেতগ্রামের বাসিন্দারা নাগরাজের আরধনা করেন। তাকে পবিত্র মনে করা হয়। দেওয়া হয় পরিবারের সদস্যের মর্যাদা। তাই সাপেদের সঙ্গেই থাকতে পছন্দ করেন। এমনকী সাপটি বিষধর হলেও।
এতে কখনও কোনও সমস্যা হয়নি বলেই দাবি তাঁদের। শিশুরাও ছোটবেলা থেকে এই পরিবেশের সঙ্গে অভ্যস্ত। দিব্যি কেউটে, গোখরোর মতো সাপের সঙ্গে খেলতে থাকে তারা। যেন কোনও প্রিয় পোষ্য।
মানুষ আর সাপের এই সহাবস্থান দেখতে অনেকেই শেতপাল গ্রামে যান। চাইলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন সাপেদের এই গ্রামে। নিজের চোখে দেখতে পারেন ছোট্ট গ্রামের আশ্চর্য কাহিনি। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন