মোঃ জহিরুল ইসলাম : ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস! প্রথমে মনে করেছি ভালোবাসার নামে বেহায়াপনা এই দিনটি নিয়ে কিছুই লিখবো না। কিন্তু অনেক ভাবার পর মনে করলাম কিছু একটা লেখা উচিত। বিশেষ করে আজকের তরুণ সমাজের জন্য। দুঃখ জনক হলেও সত্য আমার কাছে বড়ই অবাক লাগে এই দিনের কর্মকাণ্ড দেখলে। কারণ এই ভালোবাসা দিবসের মানুষটি কি শুধুই প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রী হতে হবে? এখানে কি সেই সব মানুষের (বাবা-মা) স্থান হবেনা যাদের কঠোর পরিশ্রম কিংবা ত্যাগের কারণে আমাদের মতো অকৃতজ্ঞ গরু-ছাগলেরা এই সুন্দর পৃথিবীর আলো বাতাসে বেঁচে আছি।
আজকের তরুণ সমাজকে দেখে বড়ই কষ্ট হয়। কারণ তোমরা হয়তবা আজ বুঝতে পারছনা কিন্ত যেদিন বুঝবে সেদিন আর তোমাদের করার কিছুই থাকবে না। কেন জান? সেদিন তোমার সন্তান তোমার সাথে এরছেয়ে আরো অনেক খারাপ আচরণ করবে। একটা কথা মনে রাখাবা আজ তুমি যেমন বাবা-মায়ের থেকে নিজেকে আনেক বেশি চালাক বা বুদ্ধিমান মনে করছ ঠিক তোমার সন্তানও সেদিন তোমাকে অনেক অনেক বোকা ভাববে। আর এভাবনাটাই স্বাভাবিক কারণ দিনে দিনে প্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে তাই পুরাতনরা বোকাই থেকে যাচ্ছে। সুতরাং সময়ের এক পোড় অসময়ের দশ পোড়। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, তা হল- ’যে সমাজে গুণীজনের কদর নেই সে সমাজে গুণীজন জন্মায় না’।
সুতরাং তোমার, আমার ভালোবাসার প্রথম মানুষটি হওয়া উচিত আমাদের আদরের বাবা-মা। পারলে তাদেরকে নিয়ে কোনো বিনোদনের স্থান থেকে ঘুরে এসো দেখবে প্রাণ খুলে তোমাকে দোয়া করবে। কারণ তাদের এখন কোথাও গিয়ে আনন্দ করার মতো বয়স নেই। তাই তোমার সঙ্গপেলে সে কথাটি তারা ভুলেই যাবে। কিন্ত তা নাকরে আজ যে মরিচিকার পেছন পেছন দৌড়িয়ে হয়রান হচ্ছ সে তোমাকে জাহান্নামের পথে নিয়ে যেতে একাই একশ। লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। সবাইকে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা। বিশেষ করে যারা বাবা-মায়ের প্রতি আলাদা ভাবে লক্ষ রাখেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই