পাঠকই লেখক : আমাকে নিয়ে কোন কবি কবিতা লিখেনি
বলে যে রমণী দুঃখি হয়ে ওঠে,
আমি তাদের দলে নই।
বরং প্রেমিকদেরকে বলতে চাই--
আপনার প্রেমিকাকে দুঃখ দেয়ার আগে
স্মরণ করুন তার অশ্রুশিক্ত দুটি চোখ,
তারপর তাকে একটি দুঃখ উপহার দিন।
স্মরণ করুন আপনার প্রথম প্রেমিকাকে
যে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল,
এটা শুনে আপনি কতোটা ব্যথিত সেই সম্পর্কে অবগত নই।
আমি ভাবছি আপনার বর্তমান প্রেমিকাকে,
যে এখনো আপনাকে ঘিরে স্বপ্ন আঁকে।
একমাথা সিঁদুর নিয়ে স্বামীর মঙ্গল কামনা করে যে রমণী
তার জন্য এই ভেবে করুণা হয়,
তার স্বামী অন্য রমণীর স্বপ্ন-পুরুষ।
আপনি যদি কারো প্রেমিকা ছিলেন
আমার সাথে উপস্থিত হতে পারেন পানশালায়।
এবার বলুন আপনার প্রেমিকের কথা।
আপনি নিজেকে সংযত করুন,
অথবা প্রেমকে ঘৃণাও করতে পারেন।
তারচেয়ে চলুন একটি বসন্তের কবিতা লিখি।
আপনি বরং কথা বলুন প্রাক্তন প্রেমিকের সাথে,
ভুলে যেতে পারেন পূর্ব কথা।
তারপর প্রার্থনা করুন, পৃথিবীতে প্রেম বেঁচে থাকুক ,
প্রেম অমর হোক বলে পরস্পরকে আলিঙ্গন করুন।
সেই মুহূর্তে,
এ্যাকুরিয়ামের মাছেরা হয়তো স্থির থাকবে,
এবং একজন কবি একটি নতুন কবিতার জন্ম দিবে।
সেই মুহূর্তে হয়তো ,
কাকেরা আনন্দে ডাকবে
বালকটি প্রিয় পাখির খাঁচা খোলে দিবে,
আর বালিকাটি কপালে একটি টিপ পরবে।
সেই মুহূর্তে হয়তো ,
একজন রমণী আত্মহত্যা করবে
যার কোনো প্রেমিক ছিল না।
সমান্তরাল ভাবে হেঁটে যান,
আপনি এতোটা মাতাল নন যে হোঁচট খাবেন।
একটি দীর্ঘশ্বাস, এই আর অমন কি!
তারচেয়ে দীর্ঘশ্বাস গুলো পুড়িয়ে ফেলতে পারি,
ছাইগুলোকে সেই রমণীর কবরে রাখুন,
যে আত্মহত্যা করবার পূর্বে প্রেমিককে বলেছিলো--
'আমাদের মাঝে কি প্রেম ছিলো!নাকি পুরোটা অভ্যাস?'
লেখক : তাসলিমা রুম্পা (অনিলা)।
২১ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর