পাঠকই লেখক ডেস্ক: জসীমউদ্দীনের পল্লীকবিতা আমাকে খুব আকষর্ণ করে, কোনো অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করতে হলে কোনো কিছু না ভেবেই তাঁর কবিতা পাঠ করি।
তাই গত ১২ ফেব্রুয়ারি জসীমউদ্দিনের বাড়ি অম্বিকাপুর গিয়েছিলাম কোচিং এর শিক্ষাসফরে। জসীমউদ্দিনের বাড়ি যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
সকাল ৮ টায় রওনা হলাম। আমি খুবই আনন্দিত হলাম আমার প্রানের কবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি যাওয়ার জন্য।
পথে যেতে যেতে কবর, নিমন্ত্রণ আর গান আমায় ভাসাইলিরে মনে মনে গাইতে লাগলাম।
সকাল ১০ টায় আমার কবির নিবাসে পৌঁছলাম .পৌঁছে সব কিছু দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
কবির ঘর,কাচারি ঘর,সংগ্রহশালা গ্রামীন সব জিনিস দিয়ে ঠাসা.এখানে এসে বুঝলাম কেন তাকে পল্লীকবি বলা হয়।
কবির বাড়ির দেয়াল জুড়ে রয়েছে তার বিখ্যাত কবিতার অংশ এবং তার বিভিন্ন উক্তি। এসব পড়ে কবি সমন্ধ্যে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম আর নিজের সাথে কিছু কিছু মেলাতেও পারলাম.কবির বাবা যখন ইলিশ মাছ আনত তখন তাদের বাড়িতে আনন্দের বন্যা বয়ে যেত। কবি তার হিন্দুবন্ধুদের বাড়ি থেকে ফুলগাছের ডাল চেয়ে আনত আর তা যত্ন করে লাগাত। কবি নজরুল দুবার কবিগৃহ অম্বিকাপূরে এসেছেন, আর রবীন্দ্রনাথ তাঁর কবিতার প্রসংসা করেছেন।
গ্রাম বাংলার প্রাচীন পটচিত্র দেখতে পেলাম এখানে যা দেখে খুবই তৃপ্ত হলাম. ভাষার মাসে খাটি বাঙালীয়ানা দেখে চোখ মন প্রান সবই জুড়াল, এছাড়া কবির স্ত্রী কন্যা ও পুত্রদের ছবি.জসীমউদ্দিনের ছবি দেখলাম।
এছাড়া এই প্রথম গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পালকি দেখলাম।
জসিম উদ্দীনের ঘরে মাটির পুতুল সাজানো.শিকায় সুন্দর সুন্দর শখের হাড়ি সাজানো।
পুরো বাড়িটা খুব ভালো করে ঘুরলাম.ডালিম গাছের তলে কবির কবর দেখলাম.সোজন বাদিয়ার ঘাট দেখলাম,নকশী কাঁথার মাঠ দেখলাম।
কবির সাথে পরিচিত হতে হতে কখন যে সময় চলে গেল তা বুঝতেই পারলাম না। এরপর চলে গেলাম ফরিদপুর ওয়ান্ডারল্যান্ডে. সেখানে বন্ধুরা মিলে অনেক মজা করে আবার ফিরে এলাম কবিগৃহে.খাওয়া দাওয়ার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলো.আমি কবির মাটির প্রতিকৃতি ও মাটির পেয়ালা ও মগ কিনলাম।
আর বাড়ি ফিরলাম পল্লীকবির পল্লীপ্রীতির আবেশ নিয়ে, খাওয়া দাওয়ার পর আমরা রওনা হলাম বাড়ির. উদ্দেশ্যে।
লেখক: সুদীপ বিশ্বাস
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস