পাঠকই লেখক: যতোটা পেয়েছি, এতোটা পায়নি কেউ এর আগে,
তোমাকে সমস্তটা পেয়েছিলাম কল্পনায়।
কখনো আড্ডায়,কখনো ভ্রমণ অথবা বন-বিহারে।
সমুদ্রতীরে বালিয়াড়ির উপর পদচিন্হ ধরে আর কেউ হাঁটেনি,
জোৎস্নার চাদর মোড়ে কেটে যেত শতবর্ষ।
"তুমি কার"-এই প্রশ্ন উঠেনি একবার,
কেননা এখানে তুমি পুরোটাই আমার।
মূলত তুমি ছিলে সেই প্রেমিক যার হাত ধরে হেঁটেছি দীর্ঘপথ।
রাতের গভীরতা বাড়লে আমরা শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটি।
তুমি জোনাক ধরো ,আমি দেখি,
জোনাক ছাড়লে প্রগাঢ় হয় অনুভূতি।
যখন শিশিরের স্পর্শে জন্ম নিত প্রেম,
জ্বলন্ত জোনাক স্থীর আর আমি মনুমেন্ট।
শিশিরের স্পর্শ এখনো লেগে আছে আমাদের হৃদয়ে
এইভাবে কি একটা দীর্ঘ জীবন কাটিয়েছি?
তেপায়া টেবিল, রং চা, আর সম্মুখে আমরা।
চায়ের পেয়ালায় ঝড় উঠতো তোমার চুমুকে,
তোমার কবিতা আবৃত্তি আমার মুগ্ধ চাহনি।
ভ্রমণইচ্ছু দৃষ্টি বারবার ভ্রমণ করে তোমার চোখ।
কতটা ক্ষুধা নিয়ে প্রেম এইভাবে তাকায়!
যেভাবে এক একটি ভোর হয়, প্রতিটি কল্পনায় আমরা পাই পুনজন্ম।
লেখক: তাসলিমা রুম্পা।
২৪ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/আল-আমিন/এএস