পাঠকই লেখক: বারবার কবর থেকে ‘সাগর-রুনীর’ লাশ উঠানোর পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কি পেরেছে খুনীদের চিহিৃত করতে?
উত্তরঃ পারেনি।
আজ কবর থেকে ‘তনুর’ লাশ উঠানো হচ্ছে। এতে কি আসল খুনীরা চিহিৃত হবে?
উত্তরঃ জানা নেই।
এভাবে আর কত? কখনও ৪৮ ঘন্টা, আবার কখনওবা ৭২ ঘন্টার আলটিমেটাম। এসব কি প্রহসনের আলামত, নাকি দেশের মানুষের সঙ্গে নিছক পাজলামো? সত্যি কি মা-বাবা হত্যাকারীর বিচার পাবে ‘সাগর-রুনীর’ ছোট ছেলে মেঘ? সত্যি কি মেয়ে হত্যার সুষ্ঠ বিচার পাবেন ‘তনুর’ বাবা ইয়ার হোসেন? জানতে চায়, মন খুব করে জানতে চায়; কাল যে আমি খুন হবো তার সুষ্ঠ বিচার পাবে তো আমার বাবা-মা?
মুনীর চৌধুরির ‘কবর’ নাটকের বিখ্যাত একটি সংলাপ ‘মানুষ মরে গেলে পঁচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়। কারণ অকারণে বদলায়।’ কিন্তু সাগর-রুনী ও তনুদের বেলায় মনে হয় সেটি ভিন্নই। তনুদের মরে গিয়েও শান্তি নেই। কিছু দিন পর পর তদন্তের নামে নাটকের পর্ব বাস্তবায়নে দেহটাকে কবর থেকে উঠানো হয়। কিন্তু যেই লোক দেখানো নাটক শেষ, তাদের দেহটাকে পুনরায় আগের জায়গায়ই রাখা হয়।এআর রাজু। একান্তই লেখকের ব্যাক্তিগত মতামত।
৩০ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর