আজ অমাবস্যাতিথি, ঘুটঘুটে অন্ধকার
জোঁনাকির আলোয় দেখতে পাই
নগ্ন পায়ে এক রমণী এলোকেশী,
নিস্তব্ধ পৃথবীতে নির্জনে আমি একা
নুপুরের নৃত্য ছলে কালো ছায়া।
কখনো ভয়, কখনো কাছে যাওয়ার আকুতি
কখনো স্মৃতির দেয়াল টপকায়
উষ্ণ শিহরণের বাক্যহীন প্রলাপ,
অধরার অন্তরায় এলোকেশী।
আতকে উঠি!আমার কাছাকাছি
বসে পাশাপাশি মেলে দুই হাত,
মনে হয়, আমার পরিচিত কেউ
হঠাৎ অট্টহাসি বুকে বেদনার ঢেউ।
আমি দাঁড়িয়ে যাই কন্ঠস্বরে রোদন
মাতাল হাওয়া পাগলের প্রাণে
মাতিয়া কোন এক ক্ষণে দেখি
এলোকেশী আমার প্রিয়তমা।
কি করে আসে ফিরে, চলে গেছে বহুদূরে
এক যুগ পাড়ি দিলাম প্রতীক্ষায়
মরা নদীর খরা স্রোতে ভাসিয়ে তরি
বেকুবের ন্যায় কোন এক মোহনায়।
কত পূর্ণিমা কেটেছে উড়ুতে মাথা রেখে
কত কথা সলিল হয়েছে মান -অভিমানে
আবার কিছু কথা চন্দ্রগ্রহনে হয়েছে বিলীন
কিছু স্মৃতিময় পাগলের গানে।
স্বপ্ন সাজাতো বারবার,এলোকেশী
ঘোমটা দিয়ে লজ্জাবতী হয়ে
আবার নিজেই ভাঙ্গিত তা,
দুচোখের জলে ভিজাতো বুক
কি হবে এতো স্বপ্ন দেখে।
আজ ফিরিয়া এসেছো তুমি
কোথায় ছিলে! এলোকেশী এতদিন
আজ ফিরিয়া পেয়েছি তোমায়
স্বার্থপরের মত ফিরিয়ে দিবো
সময়ের আছে যত ঋণ।
এই চলে যাচ্ছো কেন তুমি?
তুমি দেখিবেনা! কত বেশি ভালবাসি
আর কি? কোন পূর্নিমাতে আসিবেনা ফিরে
এক বুক ভালবাসা নিয়ে
আমার দুয়ারে এলোকেশী।
কবি: তারেক হাসান
২৩ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস